পরীক্ষা শেষে: মঙ্গলবার তমলুক হাইস্কুলে। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস
শুরু হয়েছে মাধ্যমিক। মঙ্গলবার ছিল প্রথম দিনের পরীক্ষা। এ দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা থেকে পরীক্ষা পর্ব নির্বিঘ্নে করতে জেলা শিক্ষা দফতর ও পুলিশ-প্রশাসনের তরফে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরে। আ দিনের শেষে দেখা গিয়েছে, জেলায় পরীক্ষা হয়েছে নির্বিঘ্নেই।
এ বছর জেলার ১০৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫৯ হাজার ৬০০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। তাদের সাহায্যে তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড়, মানিকতলা, নন্দকুমার, চণ্ডীপুর, মেচেদা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পুলিশের উদ্যোগে ‘হেল্প ডেস্ক’ চালু করা হয়। পরীক্ষার্থীদের গাড়ির যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পথে নামে পুলিশ বাহিনী। জেলার ভারপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, ‘‘প্রথম দিনে জেলার সব কেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ আসেনি।’’ একই বক্তব্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিযুক্ত জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষার কনভেনর জয়ন্ত দাসেরও।
প্রশাসনের তৎপরতার পাশাপাশি সক্রিয় ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। জেলার বিভিন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির সামনে হাজির হন তৃণমূল নেতারা। তারা ছাত্রছাত্রীদের হাতে গোলাপ ফুল, জলের বোতল ও কলম দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ দিন ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তমলুকের পুর প্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন। একই ভাবে ময়না পরমানন্দপুর জগন্নাথ ইনস্টিটিউশন এবং তিলখোঁজা বৈকুণ্ঠ বিদ্যায়তনে পরীক্ষার্থীদের ফুল, কলম, বিস্কুট ও জলের বোতল দেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রত মালাকার সহ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। আর তমলুকে তৃণমূলের টোটো চালক ইউনিয়নের তরফে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিনা ভাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy