প্রতীকী ছবি।
জমি লিখে না দিলে পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। প্রয়োজনে বাবাকে খুন করতেও দ্বিধা করবে না। হুমকি দিয়েছিল ছেলে। রাগের মাথায় এ কথা বলছে, এমনটা ভেবে ছেলের কথা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন বাবা-মা। শেষমেষ বাবাকে খুনই করল ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে দাসপুর থানার কলাইকুণ্ডু গ্রামে খুন হয়েছেন সুভাষ মেটে (৫৯)। নিহতের স্ত্রী রেখা মেটের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই দম্পতির বড় ছেলে অভিষেককে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রেখা বলেন, ‘‘আমার বড় ছেলে অভিষেক বাবাকে মেরে ফেলবে বলেছিল। আমরা দু’জনেই হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। সত্যি ওই ঘটনা ঘটল। একেই বলে নিয়তি!”
পুলিশের অনুমান, সোমবার রাতে জমি লিখে দেওয়া নিয়ে বাবা এবং ছেলের মধ্যে ফের এক দফা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপর মাকে ঘরে আটকে রাখে অভিষেক। তারপর বাবার ঘরে ঢোকে সে। বাবার চুলের মুঠি ধরে মেঝেতে থেঁতলে খুন করে সে। এ দিন সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়। পড়শিরা খবর পেয়েই ছুটে আসেন। সুভাষকে ঘাটাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
সুভাষ-রেখার দুই সন্তান। বড় ছেলে অভিষেক। ছোট ছেলে দেবাশিস। অভিষেক সোনার কারিগর। আগে কর্মসূত্রে নেপালেই থাকত সে। সম্প্রতি বাড়ি ফিরে আসে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও সংসারে কোনও টাকা দিত না অভিষেক। উল্টে সকাল থেকে মদ খেয়ে গোলমাল শুরু করত। দিন পনেরো আগে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিষেকের স্ত্রী। সদ্যোজাতকে নিয়ে আপতত তিনি বাপের বাড়িতে। অভিষেকের মতো তার ভাই দেবাশিসও সোনার কাজ করেন। কাজের সূত্রে তিনি এখন নেপালে। জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy