—ফাইল চিত্র।
ভোট শেষ। কিন্তু ফল নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না কিছুতেই!
এ বার খড়্গপুর শহরে এসে ভোট পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকে বসলেন মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের রাম মন্দিরে ওই পর্যালোচনা বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড কমিটির সভাপতিরা। খড়্গপুর সদরের বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই এ বার মেদিনীপুর লোকসভার প্রার্থী। তাই এই বিধানসভায় ‘লিড’ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে তৃণমূল। তাই দলের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড সভাপতিদের মন বুঝতেই তৃণমূল প্রার্থী ওই পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন বলে মনে করা যাচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকেও খড়্গপুর সদর আসনে ‘লিড’ পাওয়া নিয়ে আশার কথা শোনাতে পারেননি শহরের কাউন্সিলরেরা। খড়্গপুর শহরের ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে সর্বাধিক ১৭টি ওয়ার্ডে ‘লিড’ আসতে পারে বলে পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হতে পারে ইঙ্গিত মিলেছে ওই পর্যালোচনা বৈঠকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কর্মীর কথায়, ‘‘অনেকে মিথ্যা কথাও বলে মানসদার মন জয় করতে চেয়েছেন। হাড্ডাহাড্ডির লড়াই নাকি তার থেকেও খারাপ ফল হবে সেটা বলা কঠিন।” খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “আমরা তো শহরে কখনও ভাল অবস্থায় ছিলাম না। তবে এ বার যদি কংগ্রেস ও বামেরা নিজেদের ভোট ধরে রাখে তবে শহরে ‘লিড’ আসতেই পারে। এটাই মানসদাকে জানিয়েছি।”
তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রদীপ নিজেও তাঁর ওয়ার্ডে ‘লিড’ দিতে পারবে বলে মানস ভুঁইয়াকে আশ্বস্ত করতে পারেননি। তবে অনেকেই নিজেদের ওয়ার্ডে ‘লিড’ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ৪০০-৫০০টি ভোটের ‘লিড’ আসার আশা রয়েছে এমন ওয়ার্ডের সংখ্যা প্রায় ১১টি। বাকি ৬-৭টি ওয়ার্ডে ২৫০-৩০০টি ভোটে ‘লিড’ থাকবে বলে পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। এই হিসেব থাকলে ও বাকি ১৭-১৮টি ওয়ার্ডে হাড্ডাহাড্ডির লড়াই হলে খড়্গপুর শহরে জয় আসতে পারে বলে মনে করছে তৃণমূল। উঠে এসেছে সিপিএমের ভোট বিজেপিতে যাওয়ার আশঙ্কার কথা।
তৃণমূলের খড়্গপুর শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “আমরা ১৮-১৯টি ওয়ার্ডে লিড পাব বলে আশা করছি। আসলে বিজেপির নিজস্ব ভোট তো কম। সিপিএম ও কংগ্রেসের ভোট বিজেপি পাবে।” দলের একটি অংশও বিজেপিকে ভোট দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে তৃণমূল।
মানস ভুঁইয়া বলেন, “নেতা-নেত্রী, কাউন্সিলরেরা ঝুঁকি নিয়ে পরিশ্রম করেছেন। তাই দেখা করতে গিয়েছিলাম। পর্যালোচনায় উঠে এসেছে সিপিএমের অধিকাংশ ভোট বিজেপিতে গিয়েছে। তারপরেও কাউন্সিলরেরা বলেছেন, হাড্ডাহাড্ডির লড়াইয়ে আমরা খড়্গপুরে পৌঁছতে পারব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy