সপ্তাহ তিনেক আগেই পুলিশি নজর এড়িয়ে মন্দারমনির সৈকতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। কীভাবে সেদিনের সেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার ছবি ধরা পড়েনি কোনও ক্যামেরায়। ফলে তদন্তে নেমে বার বার হোঁচট খেয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গাফিলতির অভিযোগে মন্দারমণি কোস্টাল থানার ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নজরদারি। তবে সেটুকুতেই এ বার থামতে নারাজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। নিরাপত্তা জোরদার করতে শুধু দিঘা নয়, এ বার ক্যামেরার নজরদারিতে মন্দারমণি, তাজপুরের সৈকতও। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে ওই তিন সৈকত এলাকায় নজরদারি ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘা পর্যটন কেন্দ্রে নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েক বছর আগেই কিছু ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা হয়েছে। তবে তা কেবল দিঘার রাস্তায় লাগানো রয়েছে। সৈকত এলাকায় কোন ক্যামেরার নজরদারি নেই। আর মন্দারমণি, তাজপুর সমুদ্র সৈকতেও ক্যামেরায় কোনও নজরদারির ব্যবস্থা নেই। ফলে ওই এলাকায় কোনও দুর্ঘটনা বা অপরাধের ঘটনা ঘটলে তদন্তের ক্ষেত্রে নানা সমস্যায় পড়তে হয় পুলিশকে। ভরসা রাখতে হয় স্থানীয়দের উপরই।
জানা গিয়েছে, ক্যামেরা বসানোর জন্য দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে মন্দারমণি সৈকত এলাকায় ক্যামেরা বসানোর কাজ হচ্ছে। এরপর দিঘার সৈকতে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। মূলত সমুদ্র সৈকতের কাছে থাকা উঁচু আলোক স্তম্ভগুলিকে ব্যবহার করে এই ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এরপর তাজপুর সমুদ্র সৈকতে এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘মন্দারমনি সৈকত এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। দিঘা সৈকত এলাকায় ক্যামেরা বসানোর জন্য ঠিকাদার সংস্থা নিযুক্ত করা হয়েছে। তাজপুর সৈকত এলাকাতেও ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy