Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

পুজোর মুখে শহরে চালু ‘মিট কিয়স্ক’

রোল, চাউমিন, বিরিয়ানি তো প্রায়ই খাওয়া হয়। পুজোর আগে এ বার নতুন চমক মেদিনীপুরে। শহরের কালেক্টরেট চত্বরে চালু হল ‘হরিণঘাটা মিট’-এর ফুড কিয়স্ক। 

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:১০
Share: Save:

রোল, চাউমিন, বিরিয়ানি তো প্রায়ই খাওয়া হয়। পুজোর আগে এ বার নতুন চমক মেদিনীপুরে। শহরের কালেক্টরেট চত্বরে চালু হল ‘হরিণঘাটা মিট’-এর ফুড কিয়স্ক।

সোমবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগমের এই কিয়স্কের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক পি মোহনগাঁধী। জেলাশাসক বলছিলেন, “অনেক রেডিমেড খাবার এখানে মিলবে। বাজারচলতি দামের চেয়ে কমেই মিলবে।” তাঁর কথায়, “হরিণঘাটা মিটের সুনাম রয়েছে। আশা করব, এখানেও খাবার গুনগত মান বজায় থাকবে।” জেলাশাসকের পাশাপাশি কিয়স্কের উদ্বোধনে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) প্রতিমা দাস, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) প্রণব বিশ্বাস, মহকুমাশাসক (সদর) দীননারায়ণ ঘোষ প্রমুখ।

কালেক্টরেট চত্বরে মাল্টিপারপাস ব্লিডিং রয়েছে। সেই ভবনের একতলায় এই কিয়স্ক চালু হয়েছে। প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্রে খবর, আপাতত সপ্তাহে পাঁচ দিন এই কিয়স্ক খোলা থাকবে। সোম থেকে শুক্রবার। প্রাণিসম্পদ দফতরের উপ-অধিকর্তা তুষারকান্তি সামন্ত বলেন, “আপাতত সপ্তাহে পাঁচ দিন খোলা থাকবে। তবে আমরা সাত দিনই খোলা রাখার চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আশা করি, শীঘ্রই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে।” জেলাশাসকও চাইছেন, এই কিয়স্ক সপ্তাহের সব দিন খোলা থাকুক। বেশি সংখ্যক মানুষ এখানে আসুক। কিয়স্কে ঢোকার জন্য ক্যাম্পাসের বাইরের দিকে নতুন একটি গেট করারও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এদিন ওই এলাকা ঘুরেও দেখেন জেলাশাসক।

তুষারবাবু বলেন, “রকমারি সুস্বাদু খাবার মিলবে এখানে।” কেমন? এই কিয়স্কে মিলবে চিকেনের সসেজ, চিলি চিজ সসেজ, কাটলেট, শিক কাবাব, রেশমী কাবাব, পপকন, নাগেটস্, সেলামী প্রভৃতি। হাতে গরম খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা থাকছে। বসে খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, অর্ডার অনুযায়ী কয়েল, টার্কি, খরগোশ, দেশি ও ব্রয়লার মুরগির, খাসি ও ভেড়ার মাংস রান্না করা অথবা কাঁচা মিলবে। পাশাপাশি, কিয়স্ক থেকে হরিণঘাটার খাঁটি সরষের তেল, সুন্দরবনের মধু, কংসাবতী সমবায়ের ঘি, কোয়েলের ডিম পাওয়া যাবে। এমনকী, হোম ডেলিভারির ব্যবস্থাও থাকছে।

প্রাণিসম্পদ দফতরের এক কর্তার কথায়, “হাতে গরম চিকেন কাটলেট, বাহারি কাবাব, মুচমুচে নাগেটস, চিকেন সসেজ কিংবা চিকেন পপকর্ন, এই সব খাদ্যসম্ভারই পৌঁছে যাবে মানুষের কাছে।” শুধু আমিষ নয়, নিরামিষ খাবারও মিলবে। দুপুরের আহার ও টিফিনও করা যাবে এখানে। বাঙালি রসনাতৃপ্তি বরাবরই বহুমাত্রিক। ওই কর্তার কথায়, “রকমারি নানা পদ থাকছে। এখানে এসে মানুষজন যাতে নতুন নতুন খাবারের স্বাদ নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

কিয়স্কের উদ্বোধনে ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি, গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তীও। বিধায়কেরা বলছিলেন, “এই কিয়স্কে নানা রকম আইটেমই রয়েছে দেখছি। কিয়স্কটি বিশাল খাদ্যসম্ভার নিয়েই মেদিনীপুরে এসেছে। এখানে মেদিনীপুরের মানুষ খুশিই হবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kiosk Meat Haringhata Meat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE