খোলাস্থানে শৌচাগার বন্ধে প্রচারেও হুঁশ ফেরেনি। অনেক ক্ষেত্রে বাড়িতে শৌচালয় থাকলেও বাইরে শৌচকর্মের অভ্যাস বদলানো যায়নি। এ বার বাইরে শৌচকর্ম করলে কোপ পড়তে পারে সরকারি সুবিধাতেও।
মাস কয়েক আগেই ‘নির্মল ব্লক’য়ের তকমা পেয়েছে গড়বেতা-১ ব্লক। ব্লকে একশো শতাংশ শৌচালয় হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছিল প্রশাসন। খোলাস্থানে শৌচকর্ম বন্ধে ব্লকের আমলাগোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত নতুন কৌশল নিয়েছে। কী সেই কৌশল? পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে সিমেন্টের বোর্ড লাগিয়ে মানুষকে শৌচাগার ব্যবহারের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এর অন্যথা হলে অর্থাৎ খোলাস্থানে শৌচকর্ম করলে ১০০ টাকা জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি সমস্ত রকম সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। আমলাগোড়ার স্কট গ্রাউন্ড, ছাড়গোড়া-সহ বিভিন্ন পাড়ায় রাস্তার পাশেই বোর্ড দিয়ে এই কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
বোর্ডে মিশন নির্মল বাংলার প্রতীক এঁকে লেখা হয়েছে, ‘এই এলাকায় যে গুচ্ছ শৌচাগার নির্মাণ হয়েছে সেগুলি ব্যবহার করিবেন। খোলাস্থানে মলমূত্রত্যাগ করিলে সেই ব্যাক্তিকে ১০০ টাকা জরিমানা করা হইবে। এ ছাড়া ওই ব্যক্তি সমস্ত রকম সরকারি সুযোগ সুবিধা হইতে বঞ্চিত হইবে।’
নোটিস দেখে স্থানীয় বাসিন্দা ছবি দুলে, অমর রায়রা বলছেন, ‘‘পঞ্চায়েত থেকে এ কথা বলার পর আমরা শৌচকর্মের জন্য আর মাঠেঘাটে যাইনি। শৌচালয় ব্যবহার করছি।’’ আমলাগোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান শোভা বসু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত থেকে এমন ১০টি বোর্ড লাগানো হয়। মানুষের দীর্ঘদিনের অভ্যাস বদলাতেই এই কৌশল নিতে হয়েছে।’’ গড়বেতা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘মানুষের দীর্ঘদিনের অভ্যাস খোলাস্থানে শৌচকর্ম করা। সেই অভ্যাসে পরিবর্তন ঘটাতে বোর্ড দেওয়া হয়েছে। তাতে কাজও হয়েছে। মানুষ শৌচাগার ব্যবহার করছেন।’’ ব্লকের যুগ্ম বিডিও বিশ্বনাথ ধীবর বলেন, ‘‘খোলাস্থানে শৌচকর্ম আটকাতে প্রতিটি পঞ্চায়েতে নজরদারি টিম রয়েছে। নিবিড় প্রচারও চলছে, তাতে কাজও হচ্ছে।’’ তা বলে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার মতো কড়া বার্তা? যুগ্ম বিডিও বলেন, ‘‘মানুষের দীর্ঘদিনের অভ্যাসের যাতে বদল হয়, সে জন্যই এই উদ্যোগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy