কলকাতার ধাঁচে এ বার দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনে কার্নিভাল হবে মেদিনীপুরে। এর জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনে।
শহরের বাছাই করা কয়েকটি প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় থাকবে। পুজোর থিম অনুযায়ী আলাদা আলাদা শোভাযাত্রা হতে পারে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার কথায়, “মেদিনীপুরে এ বার বিসর্জনে কার্নিভালের আয়োজন করা হচ্ছে। আশা করি, উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কলকাতার রেড রোডে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনে শোভাযাত্রা হয়। রেড রোডের অনুকরণে এ বছর থেকে মেদিনীপুর শহরেও এই কার্নিভাল আয়োজনে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ- প্রশাসন। শহরে কোথাও কার্নিভাল হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মেদিনীপুরে বেশির ভাগ বিসর্জনের শোভাযাত্রা গোলকুয়াচকের উপর দিয়ে যায়। এখানে কার্নিভাল হতে পারে। তবে শহরের এই এলাকার রাস্তা তুলনায় সঙ্কীর্ণ। আবার কালেক্টরেট মোড় কিংবা এলআইসি মোড়েও কার্নিভাল হতে পারে। কালেক্টরেট মোড় কিংবা এলআইসি মোড়ের রাস্তা অবশ্য ততটা সঙ্কীর্ণ নয়। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, “যেখানেই কার্নিভাল হোক না কেন, যানজট এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।’’
মেদিনীপুর শহরে শতাধিক সর্বজনীন পুজো হয়। এরমধ্যে বাছাই করা ১৫-২০টি প্রতিমা কার্নিভালে থাকবে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, শোভাযাত্রায় পুজো কমিটি পিছু ২০- ৩০ জন থাকতে পারেন। প্রতি পুজো কমিটির জন্য পাঁচ মিনিট বরাদ্দ থাকতে পারে। কার্নিভালে উপস্থিত থাকবেন জেলাশাসক পি মোহনগাঁধী, জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া প্রমুখ। কোনও কমিটি অবশ্য জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লাইভ শো করতে পারবে না। কারণ, লাইভ শো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ঢাকের বাদ্যি, চলন্ত লরিতে আরতি, ধুনুচি নাচ, সিঁদুর খেলা, জাতধর্ম নির্বিশেষে বাংলার রামধনু সমাজের গো অ্যাজ ইউ লাইক, ছৌ নাচ, সাঁওতালি নৃত্য— সবকিছুই থাকার কথা শোভাযাত্রায়। সেই মতোই প্রস্তুতি সারা হচ্ছে। শহরের বাসিন্দা সুজাতা রায়ের কথায়, “অনেকগুলো পুজো দেখতে যাওয়া হয় না। কার্নিভাল হলে ভালই হবে, একসঙ্গে বসে সব দেখে নেব।”
বিসর্জনের কার্নিভালের ফেস্টুনে লেখা থাকতে পারে, ‘পুজো শেষে ঠাকুর দেখা।’ ঠিক যেমনটা রেড রোডে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy