অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় কেশিয়াড়ির ৪৬ জন সফল কর্মপ্রার্থীকে নিয়োগের রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো বৃহস্পতিবার খড়্গপুর মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো। চূড়ামণিবাবু জেলার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ কমিটির সভাপতিও। কী ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে ওই ৪৬ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া যায় সে বিষয়ে এ দিন খুঁটিনাটি আলোচনা হয়।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে,২০১০ সালে বাম জমানায় কেশিয়াড়ি ব্লকের ৪৬ জন কর্মপ্রার্থী অঙ্গনওয়াড়ি পরীক্ষার ইন্টারভিউ দিয়ে কৃতকার্য হয়েছিলেন। যদিও ওই সফল পরীক্ষার্থীরা নিয়োগপত্র পাননি। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে জানিয়েও সুফল না মেলায় ২০১৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ৪৬ জন কর্মপ্রার্থী। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ওই ৪৬ জনকে আগামী ৩ মে’র মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়োগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বৈঠকের পরে চূড়ামণিবাবু বলেন, “২০১০ সালে ইন্টারভিউ দিয়ে ওঁরা সফল হয়েছিলেন। তারপরে একবছর বাম সরকার থাকা সত্ত্বেও নিয়োগের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়নি।’’ তিনি বলেন, ‘‘২০১৬ সালে ওই কর্মপ্রার্থীরা মামলা করেন। হাইকোর্ট তাঁদের পক্ষে রায় দিয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক করলাম। এর পরে আরও একবার বৈঠক হবে।”
ওই ৪৬ জন ছাড়া আরও বেশ কিছু কর্মপ্রার্থীর নিয়োগের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। চূড়ামণিবাবু বলেন, “এই ৪৬ জন ছাড়াও আরও কয়েকজন কর্মপ্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের নিয়োগের বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
সিপিএমের কেশিয়াড়ি জোনাল সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক বিরাম মাণ্ডি বলেন, ‘‘২০১১ সালের মধ্যে ওই কর্মপ্রার্থীদের অঙ্গনওয়াড়িতে নিয়োগ করতে পারিনি। ২০১১ সালে পালাবদলের পর আরও ছ’বছর কেটে গিয়েছে। এতদিন তৃণমূল কেনও ওই কর্মপ্রার্থীদের অঙ্গনওয়াড়িতে নিয়োগ করেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy