Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

হাঁড়ি- কড়া নিয়ে গিয়েছে চোর, মিড-ডে মিল বন্ধ

প্রশাসন এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের এই টানাপোড়েনে আর কতদিন মিড ডে মিল বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে করছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। 

নিজস্ব সংবাদদাতা
পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩০
Share: Save:

স্কুলে চুরি হয়েছিল আট দিন আগে। অভিযোগ, সে সময় দুষ্কৃতীরা ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মিড ডে মিল রান্নার হাঁড়ি, কড়া, গামলা, খুন্তি, ডেকচি-সহ অন্য সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিয়েছিল। তার ‘খেসারত’ গিতে হচ্ছে স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের। কারণ, চুরি হওয়ার পর থেকে পাঁশকুড়ার ওই স্কুলে বন্ধ রয়েছে মিড-ডে মিল রান্না।

স্কুল এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ১৪ জানিয়ারি গভীর রাতে প্রতাপপুর- ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পাঁশকুড়া দক্ষিণ চক্রের আমড়াগোহাল বোর্ড প্রথমিক বিদ্যালয়ে চুরির অভিযোগ উঠে। স্কুলের তরফে দাবি করা হয়েছে, রান্নার বাসনপত্র-সহ চোরেরা স্কুলের ৯৬ জন খুদে পড়ুয়াদের খাবারের অধিকাংশ থালা এবং গ্লাসও নিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, স্কুলের অফিসের তালা ভেঙে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকাও খোয়া যায় বলে অভিযোগ।

চুরির পরের দিন পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মিনারানি মাইতি সামন্ত। গত ১৭ জানুয়ারি পাঁশকুড়ার বিডিও’র কাছেও স্কুলের পরিস্থিতি সম্প্রকে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। ব্লক অফিস থেকে জানানো হয়, রান্নার সরঞ্জাম কিনে তার রসিদ ব্লক অফিসে জমা দিলেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। সমস্যার সূত্রপাত এখানেই। মিনাদেবী জানিয়েছেন, গত তিন-চার মাস মিড- ডে মিলের টাকা সময় মতো মেলেনি। ফলে নিজেদের তহবিল থেকে টাকা দিয়ে এই ক’দিন রান্নার খরচ চালানো হচ্ছিল। এই আর্থিক সঙ্কটে নতুন করে রান্নার সমস্ত সামগ্রী কেনার টাকা স্কুলের নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা।

মিনারানি বলেন, ‘‘রান্নার সরঞ্জাম কোনও দোকানদার ধারে বিক্রি করতে রাজি নন। আমি পাঁশকুড়ার বিডিওকে সব জানিয়েছি। মঙ্গলবার পাঁশকুড়া ব্লক অফিস থেকে ন’টি থালা এবং গ্লাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব সরাঞ্জাম না থাকায় আপাতত বন্ধ রয়েছে স্কুলের মিড-ডে মিল রান্নার কাজ।’’

পাঁশকুড়ার বিডিও ধেনধুপ ভুটিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রান্নার সরঞ্জাম কেনার জন্য সরকারের নগদ টাকা দেওয়ার মত কোনও সংস্থান নেই। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে সরঞ্জামগুলি কিনে রসিদ জমা দিতে বলেছি। উনি এই নির্দেশ না মানলে ওনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

প্রশাসন এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের এই টানাপোড়েনে আর কতদিন মিড ডে মিল বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে করছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমড়াগোহাল বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিইসি কমিটির সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত বুধবার বলেন, ‘‘অনেকদিন ধরেই রান্না বন্ধ রয়েছে। আমরা কোনও বাবে বৃহস্পতিবার রান্নার সরঞ্জামগুলি কিনে ফেলার পরিকল্পনা করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mid Day Meal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE