পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প। ফাইল চিত্র
জমির পাট্টা চাই। আরও নানা বিষয়ের পাশাপাশি জমির অধিকারের দাবিতে বরাবরই সরব ছিলেন চন্দ্রকোনা রোড এলাকার পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনকারীরা। অবশেষ দাবি মিটতে চলছে। প্রকল্প এলাকার বাসিন্দাদের জমির পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, শীঘ্রই বুড়ামারা মৌজার আদিবাসীদের হাতে ১০১ একর ৫৪ ডেসিমল জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হবে। পাট্টার কাগজ তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে।
কয়েক বছর আগে চন্দ্রকোনা রোডের বুড়ামারা, সাঁইনারা মৌজায় পাওয়ার গ্রিডের একটি সাবস্টেশন তৈরির কাজ শুরু হয়। সরকারি জমির উপর নির্মীয়মাণ এই প্রকল্পের কাজ নিয়ে শুরু থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। পরিবেশ দূষণের অভিযোগ তুলে প্রকল্প এরিয়ায় আন্দোলন শুরু হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমস্যা সাময়িকভাবে মিটলেও স্থানীয় বাসিন্দারা জমির পাট্টার দাবিতে অনড় থাকেন। পাট্টার দাবিতে সরব হয় আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলও।
আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, পাওয়ার গ্রিডের প্রকল্প এলাকায় আগে ফলের বাগান ছিল। সেগুলি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দেখভাল করতেন। বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোজগারে তাঁদের টান পড়ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, নানা স্তরে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হয় প্রথমে বুড়ামারা মৌজায় জমির পাট্টা দেওয়া হবে। পরে অন্য মৌজাগুলিতেও পাট্টা দেওয়ার কথা ভাবা হবে। চন্দ্রকোনা রোডের ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সোমনাথ দাস বলেন, ‘‘বুড়ামারা মৌজার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে যৌথ ও একক মিলিয়ে ২৪৬টি পাট্টা তুলে দেওয়া হবে।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) উত্তম অধিকারী জানান, পাওয়ার গ্রিড এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মেনে তাঁদের সরকারি জমির পাট্টা দেওয়া হবে। তার প্রশাসনিক প্রক্রিয়া প্রায় শেষ।
ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার জগ পারগানা মনোরঞ্জন মুর্মু বলেন, ‘‘পাওয়ার গ্রিডের কাজ শুরুর সময় থেকেই পাট্টা দেওয়ার কথা শুনে আসছি। সেই দাবিতে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকও করেছি। দাবি পূরণ হলে খুশি হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy