প্রতীকী ছবি।
সবে পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা। এরমধ্যেই দান-খয়রাতি শুরু হল শহর মেদিনীপুরে। সূচনা করল শাসকদলই। তৃণমূলের উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের সঙ্গতবাজারে বিভিন্ন সামগ্রী বিলি করা হয়।
বিভিন্ন সামগ্রী বিলির এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা হিমাদ্রী খান। পেশায় ব্যবসায়ী হিমাদ্রীবাবু তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি। বিলি হওয়া সামগ্রীর তালিকায় ছিল আস্ত সেলাই মেশিন, ট্রলি প্রভৃতি। যা দেখে এলাকার অনেকেই চমকে গিয়েছেন। কারণ, বেসরকারি ভাবে এমন সামগ্রী সাধারণত বিলি হয় না। এক নয়, ওই সব সামগ্রী একাধিক বিলি হয়েছে। যেমন সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে এলাকার ৪ জন মেয়েকে। ট্রলি দেওয়া হয়েছে এলাকার ৩ জন ছেলেকে। খাদ্যশস্য বিলি করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
হিমাদ্রীবাবুর ঘোষণা, “আমরা একটা তালিকা তৈরি করেছি। এলাকার যে সব গরিব মেয়েরা সেলাই মেশিন চালায় তাঁদের সেলাই মেশিন দেবো। যে সব গরিব ছেলেরা ট্রলি চালায়, তাঁদের ট্রলি দেবো।” হঠাৎ কেন এমন উদ্যোগ? সামনে পুরভোট রয়েছে বলে? হিমাদ্রীবাবুর দাবি, “হঠাৎ কিছু হচ্ছে না। সাত-আট মাস ধরেই প্রতি মাসে এ সব বিলি হচ্ছে! আগামী দিনে আরও হবে।”
এ সব বিলির নেপথ্যে অবশ্য পুরভোটের গন্ধই পাচ্ছেন নিন্দুকেরা। সম্প্রতি মেদিনীপুরে ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। মেদিনীপুর শহরে ২৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় এসেছে। হিমাদ্রীবাবুর ওয়ার্ডটি অবশ্য অসংরক্ষিতই রয়েছে। পাঁচ বছর আগে, ২০১৩ সালের পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন হিমাদ্রীবাবু। অবশ্য তিনি পরাজিত হন কংগ্রেসের শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। শম্ভুনাথবাবু কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। শহরের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর।
তৃণমূল সূত্রে খবর, সবকিছু ঠিক থাকলে এ বারও এলাকায় দলের প্রার্থী হবেন হিমাদ্রীবাবু। তাই তিনি না কি জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন। শুরু হয়েছে দান-খয়রাতি। তৃণমূলের দাবি, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ওই এলাকায় গরিব ও দুঃস্থ মানুষদের সাহায্য প্রদান করা হয়েছে! দলের এক নেতা মানছেন, “এমন কর্মসূচি বেসরকারি উদ্যোগে অন্য কোথাও হয়েছে কি না সন্দেহ।” হিমাদ্রীবাবুর ঘোষণা, “এ বার এখানে তৃণমূলই জিতবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy