অরবিন্দ স্টেডিয়ামে চলছে খেলা। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
দ্বিতীয় বিভাগীয় ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ঘরে তুলল মৌপাল আদিবাসী জুমিদ গাঁওতা। শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ফাইনালে ২-০ গোলে নোনাশোল বঙ্গবন্ধু ক্লাবকে হারিয়ে দেয় মৌপালের দলটি।
বৃষ্টিভেজা মাঠে কাদা জমে থাকায় ফুটবলারদের সমস্যায় পড়তে হয়। গোড়ায় দু’দলের ফুটবলাররা ছন্দে ছিলেন। গোলের খাতা খুলতে বেশি সময় নেয়নি জুমিদ গাঁওতা। প্রথমার্ধের মিনিট কুড়ির মধ্যেই এগিয়ে যায় তারা। নড়বড়ে হয় যায় নোনাশোলের দলটির খেলা। পরে নিজেদের সামলে আক্রমণ বাড়ায় বঙ্গবন্ধু ক্লাব। কিছু সুযোগও তৈরি হয়। অবশ্য তা কাজে লাগাতে পারেননি নোনাশোলের ফুটবলাররা। ১-০তেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় ফের কিছুটা ঝাঁঝ বাড়ে। খেলার শেষ দিকে আরও একটি গোলের দরজাও খুলে ফেলে মৌপালের দলটি। ২- ০ গোলে এগিয়ে যায় তারা। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণে ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, জেলা যুব আধিকারিক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস, শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ প্রমুখ। লিগে যোগদানকারী দলগুলোকে ফুটবল দেওয়া হয়।
মেদিনীপুর সদর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে গত ২৩ জুলাই শুরু হয়েছিল মেদিনীপুর সদর মহকুমা দ্বিতীয় বিভাগীয় ফুটবল লিগ। সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জিত তোরই এবং সন্দীপ সিংহ জানান, মোট ৪০টি দল খেলেছে। ৮টি গ্রুপের প্রতিটিতে ৫টি করে দল ছিল। দ্বিতীয় বিভাগীয় লিগের খেলা হয়েছে লিগ কাম নক- আউটের মাধ্যমে। সদর মহকুমার একাধিক মাঠে খেলাগুলি হয়।
গত সোমবারই শেষ হয়েছে সদর মহকুমা প্রথম বিভাগীয় ফুটবল লিগ। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মেদিনীপুরের ক্ষুদিরামনগর সুভাষ কর্নার। রানার্স শালবনির গাইঘাটা গালাং মালা। শুক্রবার তাদেরও পুরস্কৃত করা হয়। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা জানিয়েছে, এ বার এই দুই লিগে ৬টি ব্লকের মোট ৫৫টি ক্লাব যোগ দিয়েছে। রেফারি ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহী বলেন, “বেশ কয়েকটি ক্লাব খুব ভাল খেলেছে। আশা করি, আগামী দিনে মেদিনীপুর সদরের ক্লাবগুলোর পারফরম্যান্স আরও ভাল হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy