Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

কর্মীকে খুনের নালিশ, হোটেলে ভাঙচুর

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর,  রামতারকহাট এলাকায় ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেল রয়েছে উত্তর উসুতপুর গ্রামের বাসিন্দা অনুপম গুছাইতের।

ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র

ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৪২
Share: Save:

এক হোটেল কর্মীর মৃত্যু। আর সেই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলে তমলুকের রামতারকহাট বাজার এলাকার এক হোটেলে চলল ভাঙচুর।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, রামতারকহাট এলাকায় ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেল রয়েছে উত্তর উসুতপুর গ্রামের বাসিন্দা অনুপম গুছাইতের। ওই হোটেলে রান্নার কাজ করতেন কোলাঘাট থানার সাহড়া গ্রামের বাসিন্দা চন্দন সামন্ত (৪২)। অভিযোগ, হোটেলের কয়েকজন কর্মী শনিবার রাত ৩টে নাগাদ চন্দনকে তমলুকের কাঁকটিয়া বাজার সংলগ্ন জানুবসান ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযোগ, এর পরেই চন্দনের দেহ রেখে পালিয়ে যান হোটেলের কর্মীরা। পাশাপাশি, দু’জন ব্যক্তি চন্দনের বাড়ি গিয়ে হাঁক দিয়ে জানায়, চন্দন অসুস্থ অবস্থায় কাঁকটিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন। পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার আগেই ওই দু’জন পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

চন্দনের স্ত্রী, ছেলে এবং লোকেরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে দেখেন চন্দন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এর পরে চন্দনের বাড়ির এলাকার লোকজন রামতারকহাটে গিয়ে ওই হোটেলে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। তমলুকের পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে তমলুক থানায় হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে চন্দনকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর পরিজন।

চন্দনের মামা শান্তিপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তথা ব্লকের তৃণমূল নেতা সন্তোষ ঘড়া। সন্তোষ বলেন, ‘‘চন্দন গত চার বছর ধরে ওই হোটেলে কাজ করছিল। ভোরে বাড়ি ফিরে যেত। এদিন সকালে চন্দনের মৃত্যুর খবর পেয়ে হোটেলের মালিক অনুপমকে ফোন করলে তিনি জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিল চন্দন। পরে আমরা হোটেলে গিয়ে দেখি সেখানে কেউ নেই। হোটেল তালা বন্ধ। আমাদের সন্দেহ চন্দনকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’

চন্দনের এক প্রতিবেশী সমীর পাড়ইয়ের অভিযোগ, ‘‘আমরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চন্দনকে মৃত অবস্থায় দেখি। তাঁর সারা শরীরে মোরামের ধুলো মাখা ছিল। বাড়ি থেকে যে পোশাক পরে গিয়েছিল, তার বদলে অন্য পোশাক ছিল ওঁর গায়ে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলে শরীরে মোরামের ধুলো থাকবে কেন। ওঁকে খুন করা হয়েছে।’’

তমলুক থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার পরে হোটেলের মালিক অনুপম পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। ফোনে অনুপমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায়, তা সম্ভব হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Hotel Vandalism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE