শুরু: আজ উদ্বোধন বৈকালিক পার্কের। নিজস্ব চিত্র
ফের খুলছে বৈকালিক পার্ক। কাল, শনিবারই ঝাড়গ্রামের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই পার্ক খুলে দিচ্ছে পুরসভা। তবে সৌন্দর্যায়নের কাজ চলবে একই সঙ্গে, জানিয়েছেন পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব।
মহকুমাশাসকের দফতরের সামনের প্রায় ৮০ ডেসিমেল ফাঁকা জায়গায় ওই পার্কটি তৈরি হয়েছিল বাম জামানায়। ২০০৭ সালের মার্চ মাসেই তৎকালীন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের উদ্যোগে পার্কের উদ্বোধন করেছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। ভিতরে ছিল অনেকগুলি শাল গাছ। কিন্তু জঙ্গলমহলের অশান্তি পর্বে ওই পার্কটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। পারতপক্ষে কেউ যেতেন না পার্কে। ঝড়ে গাছ ভেঙে নষ্ট হয়ে যায় পার্কের পাঁচিল। তবে সাঁওতালি কবি সাধু রামচাঁদ মুর্মুর জন্মদিনে পার্কের ভিতরে তাঁর মূর্তিতে মালা দেওয়া হত। সে দিন পরিষ্কার করা হত ঝোপঝাড়। কিন্তু সারাবছর সাপখোপের আস্তানায় কেউ পা দিতেন না।
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে পার্ক সংস্কারের কাজ। আপাতত খরচ হয়েছে আট লক্ষ টাকা। সবার জন্য খুলে দেওয়া হলেও সৌন্দর্যায়নের কাজ চলবে। ধীরে ধীরে লাগানো হবে বাহারি গাছ, বাতিস্তম্ভ, ছোট মাপের ফোয়ারা ইত্যাদি। পার্কের পরিচালন কমিটির জন্য একটি নতুন আফিস ঘরও তৈরি হবে। হঠাৎ ঝড় বৃষ্টির শুরু হলে আশ্রয় নিতে পারবেন ভ্রমণকারীরা। পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব বলেন, ‘‘পার্ক দেখাশোনার জন্য কমিটি গড়ে দেওয়া হবে। যাতে আগের মতো অবস্থা আর না-হয়। বিষয়টি নজরে রাখা হবে।’’
‘রিটায়ার্ড এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’-এর ঝাড়গ্রাম শাখার সম্পাদক গোপাল দত্ত ও কার্যকরী সমিতির সদস্য অনিল কুমার সিংহরা খুশি পুরসভার এই উদ্যোগে।
গোপালবাবু বলেন, ‘‘বিকেলে যে একটু হাঁটব বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেব, তার কোনও জায়গা ছিল না। ভালই হল।’’ অনিলবাবু বলেন, ‘‘আমাদের বন্ধুদের কারও জন্মদিন পালন করতে চাইলে আলাদা করে করতে পারি না। বা কারও কোনও শোকসভা করার মতো জায়গাও নেই। এ বার মনে হয় এখানে একটু জায়গা পাব নিজেদের মতো করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy