সেজে উঠেছে রামেশ্বর মন্দির চত্বর। —নিজস্ব চিত্র।
রামেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে সৌন্দর্যায়ন ও পর্যটন পরিকাঠামোর কাজ সম্পূর্ণ করল বন দফতর। প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি গ়ড়ে নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে রামেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাহী আধিকারিক তথা নয়াগ্রামের বিডিও তাপস ভট্টাচার্যের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকল্পটির দায়িত্ব তুলে দেন মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত ডিএফও অঞ্জন গুহ। ডিএফও জানান, মন্দির চত্বরে পর্যটকদের জন্য সুদৃশ্য বাগান ও শিশুদের খেলার পার্ক তৈরি করা হয়েছে। সুবর্ণরেখার তীরে তৈরি হয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ারও।
নয়াগ্রামের দেউলবাড়ে সুবর্ণরেখা নদীর তীর লাগোয়া ৫ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে মাকড়া পাথরে তৈরি প্রাচীন রামেশ্বর শিব মন্দির। মন্দিরের গর্ভগৃহে একসঙ্গে রয়েছে বারোটি শিবলিঙ্গ। উত্কল শৈলির এই মন্দির ঘিরে রয়েছে নানা জনশ্রুতি। কেউ বলেন, এই মন্দিরটি ত্রেতাযুগের। বনবাসকালে সীতার শিবচতুর্দ্দশীর ব্রত উদযাপনের জন্য রামচন্দ্রের অনুরোধে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা মন্দিরটি তৈরি করেন। আবার কেউ কেউ এই মন্দিরটিকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সমসাময়িক বলে মনে করেন।
রামেশ্বর মন্দিরটির গঠন অনেকটা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো। এক সময় নয়াগ্রাম এলাকাটি ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ পরগনার অধীনে ছিল। পুরাতত্ত্ব গবেষকদের একাংশের মতে, একাদশ-দ্বাদশ শতকে ওড়িশার চোল গঙ্গদেব রাজাদের আমলে মন্দিরটি তৈরি হয়। এই মন্দিরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সকালে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের প্রথম কিরণ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে চারপাশ আলোকিত করে তোলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy