Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus Lockdown

বিদ্যুৎ নেই, পানীয় জলের আকাল

ঘাটাল শহরের বাসিন্দাদের একাংশের মত, পুরসভা বিকল্প জেনারেটর ব্যবস্থা রাখলে এত সমস্যা হত না।

ভিড়: জলের লাইন দাসপুরের টালিভাটায়। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

ভিড়: জলের লাইন দাসপুরের টালিভাটায়। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২০ ০৩:৩৮
Share: Save:

আশঙ্কা ছিল। তা সত্যিও হল। ‘আমপান’ ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ঘাটাল শহর-সহ মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশ। ঘাটালের পাঁচটি পুর এলাকা-সহ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কটও তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ঘাটালের গ্রামীণ এলাকায় সজলধারা প্রকল্পগুলি অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে, সেখানেও পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের পরে ক্রমে ঘাটাল শহর-সহ অন্য পুর এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক অসীম পাল বলেন, “বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জলের সমস্যা তৈরি হয়। দুপুরের পর অবশ্য পুর-শহরগুলিতে পানীয় জল পরিষেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।তবে বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকায় সমস্যা এখনও আছে।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, আমপান ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় বুধবার সকাল থেকেই ঘাটাল মহকুমা জুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার দুপুরে ঝড়ের দাপট শুরু হতেই ঘাটাল শহরের কুশপাতা, কোন্নগর, আড়গোড়া, গম্ভীরনগর, কৃষ্ণনগর-সহ বিস্তীর্ণ অংশে বিদ্যুতের তারে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। খড়ার, ক্ষীরপাই, রামজীবনপুর, চন্দ্রকোনা পুর-শহরেও একই ছবি। বৃহস্পতিবার সকালের পরে ঘাটাল শহর-সহ পুর এলাকাগুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে বিদ্যুৎ দফতর। দুপুরের পরে ক্রমে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে এখনও পুরসভাগুলির বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন। তাতেই তীব্র হয়েছে পানীয় জলের সমস্যা।

ঘাটাল শহরের বাসিন্দাদের একাংশের মত, পুরসভা বিকল্প জেনারেটর ব্যবস্থা রাখলে এত সমস্যা হত না। পুরপ্রধান বিভাস ঘোষ বলেন, “বিদ্যুৎ না থাকায় সকালের দিকে পানীয় জলের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। দুপুরের পরে পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেখানে পুরসভার তরফে জলের গাড়ি পাঠানো হয়েছে।”

ঘূর্ণিঝড়ে ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা তছনছ হয়েছে। সব থেকে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাসপুর ১ ও ২ ব্লক এলাকায়। দুই ব্লকে প্রায় শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি উপড়েছে। পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে মূলত সজলধারার মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় সজলধারার পাম্পগুলি অকেজো হয়ে পড়ে। তার জেরে গ্রামাঞ্চলে পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Cyclone Amphan Cyclone
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE