জমিতেই পচে নষ্ট হয়েছে আলু। দাসপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
বাড়তি ফলনেই দেখা গিয়েছিল ভ্রূকুটি। পরে অকাল বর্ষণে মাথায় হাত পড়েছে আলু চাষিদের। ক্ষতি সামলাতে দু’টি রাস্তার কথা বলছেন তাঁরা— ক্ষতিপূরণ ও বিমার টাকা।
ফাল্গুনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়েই ভারী বৃষ্টি হয়েছে। মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮৩ মিলিমিটার। তবে সব ব্লকে সমহারে বৃষ্টি হয়নি। কোথাও তিন-চার মিলিমিটার বৃষ্টিও হয়েছে। সেই বিচারে আলু উৎপাদনে জেলার প্রধানতম ব্লক গড়বেতা ১-এ তুলনায় কম ক্ষতি হয়েছে।
তবে সরকারি ভাবে ক্ষতিপূরণের কোনও ঘোষণা এখনও হয়নি। প্রশাসন জানিয়েছে, এখন ক্ষয়ক্ষতির হিসেব কষা চলছে। জেলাশাসক পি মোহনগাঁধীও বলেন, “কৃষি দফতরকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব কষতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হবে।” কৃষি দফতরের সহ-অধিকর্তা (তথ্য) দুলাল দাস অধিকারী জানিয়েছেন, এ বার জেলায় ৭০ হাজার জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৩৬ হাজার ২৬ হেক্টর জমির আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আলুতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫৯৪ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। কৃষি দফতর জানাচ্ছে, জেলায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি থেকে আলু তুলে নিয়েছিলেন চাষিরা। সেই আলু মাঠেই জমছিল। জলে-কাদায় তা এখন পচছে, ছড়াচ্ছে কটূ গন্ধ। আলুতে লাল দাগ দেখা দিয়েছে। সেগুলি বিক্রি করা বা খাওয়া, কোনওটাই যাবে না।
তবে সরকারি ভাবে ক্ষতিপূরণের কোনও ঘোষণা এখনও হয়নি। প্রশাসন জানিয়েছে, এখন ক্ষয়ক্ষতির হিসেব কষা চলছে। জেলাশাসক পি মোহনগাঁধীও মধ্যেই বিমা সংস্থাকে পরিস্থিতির কথা জানিয়ে দিয়েছে। কৃষি দফতরের আশ্বাস, যে সব চাষি আলুতে বিমা করিয়েছিলেন, তাঁরা নিশ্চয়ই ক্ষতিপূরণ পাবেন। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতিও বলেন, “আলু চাষিদের বিষয়টি সরকারের নজরে আছে।”
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের কিন্তু বক্তব্য, বিমা সংস্থার লোকজন এখনও জেলায় আসেননি। অথচ বিমার টাকা পেতে ক্ষতির প্রমাণ প্রয়োজন। পচে যাওয়া আলু সরিয়ে নিলে সেই প্রমাণ দেখানো কঠিন হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy