Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
এইচডিএ

কমিটিতে ঠাঁই নেই, সরব বিরোধীরা

হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ (এইচডিএ)-র উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত পরামর্শদাতা কমিটিতেও ঠাঁই হল না বিরোধীদের।

অপ্রমেয় দত্তগুপ্ত শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৬ ০১:৫১
Share: Save:

হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ (এইচডিএ)-র উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত পরামর্শদাতা কমিটিতেও ঠাঁই হল না বিরোধীদের।

গত ১২ জুলাই পর্ষদের বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়। তিন সদস্যের কমিটির চেয়ারম্যান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল। কমিটিতে রয়েছেন হলদিয়া পুরসভার পুর-পারিষদ বিকাশ জানা, তৃণমূল পরিচালিত জয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্বতী পাত্র ও প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য আনন্দময় অধিকারী। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের কমিটিতে কোনও বিরোধী বিধায়ককে রাখা হয়নি।

হলদিয়ার শিল্প এলাকার উন্নয়নের জন্য আশির দশকে এইচডিএ গঠিত হয়। হলদিয়ার শিল্প এলাকার উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন দেওয়াই উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত পরামর্শদাতা কমিটির প্রধান কাজ। কোনও ব্যক্তি যদি পুনর্বাসন না পান বা ক্ষতিপূরণ কম পেয়ে থাকেন তা চিহ্নিত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করাও এই কমিটির কাজ।

বিরোধীদের অভিযোগ, হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন তমালিকা পণ্ডা শেঠকেও এইচডিএ-তে জায়গা দেওয়া হয়নি। সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা ভোটে হলদিয়া আসন হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা হলদিয়ার তৃণমূল প্রার্থী মধুরিমা মণ্ডলকে হারিয়ে দেন সিপিএম প্রার্থী তাপসী মণ্ডল। বাম বিধায়ক তাপসীদেবীকেও এইচডিএ-তে রাখা হয়নি। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বাম আমলে শুভেন্দু অধিকারী সাংসদ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে এইচডিএ-র সদস্য করা হয়নি। এক তৃণমূল নেতার কথায়, “শুভেন্দু অধিকারী সাংসদ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে এইচডিএ-র সদস্য করা হয়নি। তখন যে পথ দেখানো হয়েছিল এখন সেই পথেই হাঁটা হল।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ককে এইচডিএ-তে জায়গা না দিয়ে বাম আমলের ধারাই বজায় রাখা হল।

এইচডিএ-র কমিটির সদস্য হয়েছেন নন্দকুমারের নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে। কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন পাঁশকুড়া পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান নন্দ মিশ্রও। বিধানসভা নির্বাচনের পর গত ১২ জুলাই বৈঠক করেন এইচডিএ-র চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডলকেও এইচডিএ-র কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈঠক থেকেই দেবপ্রসাদবাবুকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়। তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, হলদিয়া বিধানসভা আসন হাতছাড়া হওয়ায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দেবপ্রসাদবাবুকেও।

সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সংসদীয় গণতন্ত্র মানেন না। তাই তাঁর দলের নেতারা যে সংসদীয় গণতন্ত্র মানবেন না তাতে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে।’’ হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডলেরও বক্তব্য, “ওরা কোনও নিয়ম, আইনকানুন কিছুই মানেন না। তাই এইচডিএ-র এ রকম বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। মানুষ এই অপশাসনের জবাব দিয়েছেন। আবার দেবেন।” এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুবাবুর জবাব, ‘‘এইচডিএ-র কমিটি কী ভাবে গড়া হবে, সিপিএমের থেকে কি সেই পরামর্শ নিতে হবে!’’

স্মারকলিপি। শব্দদূষণ ও অবৈধভাবে রাস্তা দখল বন্ধ করার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে শুক্রবার স্মারকলিপি দিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনের সম্পাদক শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা বলেন, ‘‘জেলাশাসকের কাছে শব্দদূষণ ও দুর্ঘটনা রোধে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশাসনের পদক্ষেপ করার দাবি জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mla district
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE