এক ঘরে দুই কর্মাধ্যক্ষের বসার ব্যবস্থা জেলা পরিষদে। নিজস্ব চিত্র
সভাধিপতি যদি ‘জেলার মুখ্যমন্ত্রী’ হন, কর্মাধ্যক্ষ হলেন ‘জেলার মন্ত্রী’। আর সেই ‘জেলার মন্ত্রী’-র ঘরই বাড়ন্ত!
এমনই বেনজির পরিস্থিতি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে। পরিস্থিতি দেখে আপাতত দু’জন কর্মাধ্যক্ষকে একই ঘরে বসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের এক সূত্রে খবর, পুরনো কর্মাধ্যক্ষদের প্রায় কেউই নিজেদের ঘর ছাড়তে নারাজ। সেই থেকে এই পরিস্থিতি। এ তো নজিরবিহীন পরিস্থিতি? জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহের অবশ্য দাবি, ‘‘এটা তেমন কোনও সমস্যা নয়। পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ জেলা সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিও বলেন, ‘‘দিন কয়েক হয়তো দু’জন কর্মাধ্যক্ষ একই ঘরে বসবেন। দ্রুতই পৃথক ঘরের ব্যবস্থা হবে।’’
দীর্ঘ টালবাহানার পরে শুক্রবার জেলা পরিষদে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হয়েছে। আর এরপরই ঘর-সঙ্কট সামনে আসে। পুরনো চারজনকে এ বার আর কর্মাধ্যক্ষ করা হয়নি। দলের এক সূত্রে খবর, বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষদের মধ্যে ‘পুনর্বাসনে’র সূত্রে অধ্যক্ষ হবেন তপন দত্ত। ফলে, তপন যে ঘরে বসতেন, সেই ঘরটি তাঁর জন্যেই রাখা হয়েছে। পুরনো যাঁরা ছিলেন, এ বারও আছেন, তাঁদের দফতর বদলেছে। তবে কেউ নিজেদের ঘর ছাড়তে রাজি হননি। আগের ঘরেই বসতে শুরু করেছেন। শুধু ঘরের সামনে থাকা ‘নেমপ্লেট’ বদলে যাবে।
জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, সমস্যায় পড়েছেন নতুন দুই কর্মাধ্যক্ষ। প্রতিভা মাইতি এবং মামনি মান্ডি। প্রতিভা নারী-শিশুকল্যাণ কর্মাধ্যক্ষ ও মামনি শিক্ষা-ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন। ঘর কম পড়ায় আপাতত এই দু’জনকে একই ঘরে বসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো দু’জন একই ঘরে বসছেন। জেলা পরিষদের একতলায় সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতির দফতর রয়েছে। আর দোতলায় রয়েছে কর্মাধ্যক্ষদের দফতর। জেলা পরিষদের এক সূত্রে খবর, দোতলায় আর নতুন ঘরের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। একতলায় নতুন ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। একজন কর্মাধ্যক্ষকে একতলার ঘরে নেমে আসতে হবে। কিন্তু কে নামবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। এক-এক করে কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষকে বোঝানো শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy