Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
POCSO

নাবালিকা ‘ধর্ষণ’, পকসো আইনে গ্রেফতার বৃদ্ধ

নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মানগোবিন্দকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের দাবি, জেরায় বৃদ্ধে অপরাধ স্বীকার করেছে। 

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
এগরা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০ ০০:২৫
Share: Save:

প্রতিবেশী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এগরা থানা এলাকার কিসমত বাথুয়াড়ির ঘটনা।

পুলিশ সূত্রের খবর, এগরা-২ ব্লকের বাথুয়াড়ি বাজার এলাকায় নির্যাতিতার বাড়ি। বাজার সংলগ্ন বাড়িতে চা ও পানের দোকান রয়েছে তাদের পরিবারের। নাবালিকার বাবা বাজারে একটি ব্যাঙ্কের ক্যান্টিনে চা সরবরাহের কাজও করেন। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ ওই দোকানে এসেছিলেন অভিযুক্ত বৃদ্ধ মানগোবিন্দ ঘোড়াই। সেই সময় বাড়িতে একা ছিল নাবালিকা। অভিযোগ, একা থাকার সুযোগে অভিযুক্ত মানগোবিন্দ বাড়িতে ঢুকে ওই কাণ্ড ঘটায়। নাবালিকার চিৎকারে স্থানীয়েরা ছুটে এলে মানগোবিন্দ পালানোর চেষ্টা করেও বলে দাবি। তবে স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে।

মারধর করে আটকে রাখা হয় বৃদ্ধকে। রাতে অসুস্থ নাবালিকাকে প্রথমে গঙ্গাধরবাড় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থায় অবনতি হলে চিকিৎসকেরা এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাকে স্থানান্তরিত করে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নাবালিকার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। অভিযুক্তে বৃদ্ধকে পুলিশ রাতে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মানগোবিন্দকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের দাবি, জেরায় বৃদ্ধে অপরাধ স্বীকার করেছে।

উল্লেখ্য, বছর তিনেক আগে ময়নার আনুখা গ্রামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল। সম্প্রতি তমলুকে আদালত ওই বৃদ্ধকে বেকসুর খালাস করেছে। সামনে আসে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ওই বৃদ্ধকে ফাঁসানো হয়েছিল। ওই রায় দানের সময় আদালত পকসো আইন দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশকে সতর্ক হতে বলেছিল। বাথুয়াড়ির ঘটনায় যে পুলিশ সতর্কই রয়েছে, তা জানাচ্ছেন এগরার এসডিপিও মহম্মদ বৈদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘‘ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্তকে পকসো আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা রুজুর করার বিষয়ে আমরা সব সময় সচেতনশীল থাকি। তবে এখনও পর্যন্ত নাবালিকার মেডিক্যাল রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্ট এলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’

ধৃতকে শুক্রবার কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নাবালিকার পরিবারকে নিরাপত্তার দাবিতে থানায় স্মারকলিপি দিয়েছে এগরা মহকুমা কংগ্রেস। এগরা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে ওই দাবিপত্র দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা মানস কর মহাপাত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

POCSO Arrest Egra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE