Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

টিকিটের কালোবাজারি, ওড়িশায় অভিযানে ধৃত

রেল সূত্রের খবর, ধৃতের কাছ থেকে ৬টি টিকিট বাজেয়াপ্ত করেছে অপরাধদমন শাখা। ১৩ হাজার ৯৭০ টাকা মূল্যের টিকিট কাটা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

গণেশচন্দ্র জেনা। (কাগজ হাতে)

গণেশচন্দ্র জেনা। (কাগজ হাতে)

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

টিকিটের কালোবাজারি বন্ধে ওড়িশায় হানা দিল খড়্গপুর রেলের অপরাধদমন শাখা। মঙ্গলবার রাতে ওড়িশার জলেশ্বর থেকে একজনকে গ্রেফতার করে টিকিট বাজেয়াপ্ত করেছে তারা। ওই দিন খড়্গপুর রেল ডিভিশনের আরপিএফের অপরাধদমন শাখার পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই সময়েই গণেশচন্দ্র জেনা নামে একজনকে গ্রেফতার করে তাঁরা। ধৃতের বাড়ি বালেশ্বর জেলার লক্ষ্মণনাথ রোডে।

রেল সূত্রের খবর, ধৃতের কাছ থেকে ৬টি টিকিট বাজেয়াপ্ত করেছে অপরাধদমন শাখা। ১৩ হাজার ৯৭০ টাকা মূল্যের টিকিট কাটা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হয়েছে নগদ টাকাও। বিশাখাপত্তনম যাওয়ার ওই টিকিটগুলি অন্যের নামে কাটাতেই সন্দেহ হয় অপরাধদমন শাখার আধিকারিদের। তার পরে জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

রেলের অপরাধদমন শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর থেকেই ই-টিকিট ও কাউন্টার টিকিটের কালোবাজারিতে নজর দিয়েছে রেলের এই শাখা। গত বছর খড়্গপুর, পাঁশকুড়া, ঘাটাল-সহ বিভিন্ন এলাকায় ই-টিকিটের কালোবাজারিতে জড়িতদের পাকড়াও করা হয়েছিল। সেই সূত্রেই উঠে এসেছিল বিশেষ সফটওঅয়্যার ব্যবহার করে তৎকাল টিকিটের কালোবাজারির ঘটনা। তৎকাল টিকিটে কালোবাজারিতে ধারাবাহিক অভিযানেও সাফল্য পেয়েছিল এই শাখা। খড়্গপুর, মেদিনীপু, ঘাটাল, পাঁশকুড়ার মতো ডিভিশন সংলগ্ন স্টেশনগুলিতে এখন এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে বলে দাবি অপরাধদমন শাখার। তবে ওড়িশার জলেশ্বর, বালেশ্বর এলাকায় এই কালোবাজারি চলছেই। এ ক্ষেত্রে নিজেকে রেলের এজেন্ট পরিচয় দিয়ে বেআইনিভাবে টিকিটের কালোবাজারি চালাচ্ছে এই ভুয়ো এজেন্টরা। আগে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে বিপুল সংখ্যক টিকিট সংগ্রহ করে পরে বেশি দামে বিক্রি করছে এই ভুয়ো এজেন্টরা।

গত কয়েকদিন ধরেই গোপালচন্দ্র নামে ওই যুবকও ভুয়ো এজেন্টের কাজ করছিল। সেই খবর পৌঁছেছিল রেলের অপরাধদমন শাখায়। তার পরেই ওই দিন রাতে তাঁরা ওই স্টেশনে হানা দেয়। দেখা যায় অন্যের নামে টিকিট কাটছেন ওই ভুয়ো এজেন্ট। এর পরেই হাতেনাতে তাঁকে পাকড়াও করে জেরা করতেই কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। পরে ঘটনার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করলে গণেশকে গ্রেফতার করা হয় বলে অপরাধদমন শাখার দাবি। ইন্সপেক্টর সুরেশ কুমার বলেন, “আমাদের টিকিটের ওপর অভিযান চলছেই। তবে ওড়িশার ওই এলাকায় এমন পেপার টিকিটের কালোবাজারি চলছে বলে খবর ছিল কয়েকদিন ধরে। হানা দিয়ে একজনকে গ্রেফতার। আরও কেউ জড়িত আছে কিনা দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Arrest Ticket Black
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE