এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল।
নামে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। কিন্তু শ্বাসকষ্ট নিয়ে একসঙ্গে দশজন রোগী ভর্তি হলে প্রত্যেকে যে অক্সিজেন পাবেন এমন নিশ্চয়তা নেই।
এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে মোট ৩০০টি বেড রয়েছে। চালু রয়েছে ২৫৬টি বেড। প্রতি বেডের কাছে নলবাহিত অক্সিজেন যোগানের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। অথচ মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা চালু হয়নি। মার্চ মাসে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক খতিয়ে দেখার পর ছয় বেডের আইসিসিইউ পরিষেবা চালু হয়। সূত্রের খবর বাইরে থেকে প্রতি মাসে ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার আসে শুধু আইসিসিইউের জন্য। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ভেন্টিলেশনে থাকা একজন রোগীকে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় ২৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার। সেখানে হাসপাতালে প্রতি মাসে আসে মোট পঞ্চাশটি সিলিন্ডার। কেন্দ্রীয় ভাবে অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে বহু রোগীর পরিবার। আইসিসিইউয়ে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয়ার কথায়, ‘‘সিলিন্ডার দিয়ে রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া কিছুটা ঝুঁকি সাপেক্ষ। পর্যবেক্ষণের সামান্য ভুলে হঠাৎ অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে প্রানহানির আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু কী করব। এতদিন পরেও তো এখানে কেন্দ্রীয় ভাবে অক্সিজেন যোগানের ব্যবস্থা চালু হল না।’’ বরিদা গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিত জানা বলেন, ‘‘আমার এক আত্মীয়া শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত সপ্তাহে এগরা সুপার হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিন্তু ওই সময়ে হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন না থাকায় তাদের বাইরে থেকে অক্সিজেন ভাড়া করে আনতে হয়। কর্তৃপক্ষের উচিত এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা।’’
হাসপাতালের সুপার গোপাল গুপ্তের মন্তব্য “নলবাহিত অক্সিজেন যোগানের ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় সবরকমের পরিকাঠামো রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। পরিষেবায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। তবে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। এখন স্বাস্থ্য ভবনের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছি।’’পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচরণ মণ্ডল বলেন,‘‘হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন পরিষেবা শুরু করার বিষয়টি আমার হাতের বাইরে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy