বদলি হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক পি মোহনগাঁধী। —ফাইল চিত্র।
বছর ঘোরার আগেই বদলি হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক পি মোহনগাঁধী। জেলার নতুন জেলাশাসক হচ্ছেন রশ্মি কমল। মঙ্গলবার এই বদলির নির্দেশ হয়েছে।
রশ্মি এক সময়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে তাঁকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ডব্লুবিআইডিসি-র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর করা হয়। ফের জেলাশাসকের দায়িত্বে ফিরলেন তিনি, তবে পাশের জেলায়। আর পি মোহনগাঁধী রাজ্যের কো-অপারেটিভ সোসাইটির রেজিস্ট্রার হচ্ছেন বলেই প্রশাসনের এক সূত্রে খবর।
বদলির এই নির্দেশ ঘিরে রাজনৈতিক চর্চাও শুরু হয়েছে। লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলে ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। এলাকা পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব শুভেন্দু অধিকারীকে সঁপেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ঝাড়গ্রামে না গেলেও একাধিক বার পশ্চিম মেদিনীপুরে এসেছেন শুভেন্দু। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই শুভেন্দুর খাসতালুক পূর্ব মেদিনীপুরেই দীর্ঘ দিন জেলাশাসক ছিলেন রশ্মি। ফলে, জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শুভেন্দুর দলীয় ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্ব পাওয়া ও রশ্মির সেই জেলার জেলাশাসক হওয়ার মধ্যে যোগসূত্রও থাকতে পারে।
লোকসভা ভোটের পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারেরও বদলি হয়েছে। অলোক রাজোরিয়াকে সরিয়ে পুলিশ সুপার করা হয়েছে দীনেশ কুমারকে। আর পি মোহনগাঁধী তো এই জেলার দায়িত্ব নেওয়ার পরে এক বছরও হয়নি। এ নিয়ে বদলি নিয়ে তাই শাসকদলকে বিঁধতে ছাড়ছে না বিজেপি। তাদের বক্তব্য, তৃণমূলের কিছু অনৈতিক কাজ করার পরিকল্পনা করেছে। তারা বুঝেছে, নতুন কাউকে জেলাশাসক হিসেবে আনা না হলে ওই কাজ করা সম্ভব নয়। বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, এই জেলাশাসককে দিয়ে অনৈতিক কাজ করানো সম্ভব হচ্ছিল না। না হলে হঠাৎ করে জেলাশাসককে বদলি করা হবে কেন? আমি তো আর অন্য কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।’’
জেলাশাসক বদলির পিছনে রাজনৈতিক কারণ থাকার সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, "জেলাশাসক বদলি হয়েছেন। এটা প্রশাসনিক ব্যাপার। এতে দলের কিছু বলার থাকতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy