আদিবাসী সংগঠনের সঙ্গে আজ বৈঠক করবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
মাস কয়েক আগে তাদের আন্দোলনে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল জেলার জনজীবন। আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের অবরোধ- বিক্ষোভ প্রত্যাহার করাতে ঘুম ছুটেছিল প্রশাসনের। তবে সংগঠনের নেতৃত্ব শুক্রবার জানিয়ে দিলেন, আদিবাসীদের স্বার্থে আন্দোলন করলেও তাঁরা রাজ্য সরকার কিংবা শাসক দলের বিরুদ্ধে নয়। ঘটনাচক্রে আজ, শনিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক বৈঠক হওয়ার কথা পারগানা মহলের। ঝাড়গ্রামে এই বৈঠক হতে পারে।
এ দিন সাংগঠনিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের নেতা রবিন টুডু। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাইব কোথায় বলুন? আমরা সরকারের কাছ থেকেই তো চাইব। সেই ক্ষেত্রে যারা সরকারে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে কথাগুলো হয়েই যায়। এটা দিতে হবে, সরকার দিচ্ছে না, এটা বলতেই হয়। তার মানে এই নয় যে আমরা শাসক দলের বিরুদ্ধে।’’ রবিনের এই বক্তব্য কি আপাতত শাসক শিবিরে স্বস্তির হাওয়া আনবে? সদুত্তর এড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘আমাদের সরকার আদিবাসীদের প্রতি বরাবরই সহানুভূতিশীল। আদিবাসীদের শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়নে আমাদের সরকার যা করেছে, গত একশো বছরে কেউ তা করেনি।’’
জেলাস্তরে প্রাথমিক ক্রীড়ার প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে আজ, শনিবার ঝাড়গ্রামে আসতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে প্রস্তাবিত বৈঠকের কথা মেনে নিয়েছেন রবিন। তাঁর কথায়, ‘‘শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ঝাড়গ্রামে আসছেন। উনি আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। আমরাও চেয়েছিলাম সাক্ষাৎ করতে। শিক্ষা সংক্রান্ত যে দাবিদাওয়া আমাদের রয়েছে, আমরা আশা করছি উনি এসে সেই ব্যাপারে ভাল খবর দেবেন।’’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষক নেওয়া কথা ঘোষণা করেছেন। রবিন বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা কার্যকর হলে খুশি হব।’’ গত মাসে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরেছেন রবিনরা। গত সেপ্টেম্বরে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও এক বৈঠক হয় এই
আদিবাসী সংগঠনের।
নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে রবিন বলেন, ‘‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের নুন খেয়ে বসে নেই যে তাদের গুণ গাইতে হবে। আমরা আমাদের দাবি জানাব। যে সরকার বা দল আমাদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন নিশ্চয়ই থাকবে।’’ তবে দাবি পূরণ না হলে যে ফের আন্দোলনের পথ নেবেন তাঁরা তা জানিয়ে দিতেও ভোলেননি রবিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy