নন্দীগ্রামের বাসিন্দা বছর পঁচিশের যুবক মিঠু দাস অসুস্থ হয়ে ছুটে গিয়েছিলেন চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষার জন্য এক মাস আগে এসেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটে। কিন্তু সেখানে জানানো হয় ওই পরীক্ষা করানো যাবে না। তাই বাধ্য ওই যুবক গিয়েছিলেন কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে।
শুধু মিঠু দাস নয়। গত দু’মাস ধরে এমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন জেলার বহু বাসিন্দা। কারণ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটে এখন থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষার কিট সরবরাহ নেই। তাই থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় করার পরীক্ষা বন্ধ। আর এর জেরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা হাসপাতালে আসা রোগীরা।
সমস্যার কথা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই মণ্ডল। তাঁর কথায়, ‘‘থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় করার কিট-এর সরবরাহ কিছুদিন বন্ধ থাকায় এই সমস্যা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে এ বিষয়ে জানাো হয়েছে। তবে দ্রুত কিট পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’’
জেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ রয়েছে এমন শিশু-সহ বাসিন্দাদের সরকারিভাবে বিনামূল্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এ জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগের কাছে থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিট চালু রয়েছে। রক্ত দেওয়ার জন্য এখানে ২০ টি শয্যা চালু রয়েছে। কিন্তু দু’মাস ধরে থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় করার প্রয়োজনীয় কিট না থাকায় থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা বন্ধ হয়ে রয়েছে। চণ্ডীপুর ব্লকের চৌখালির বাসিন্দা নুর আমিন বলেন, ‘‘জেলা হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করাতে গেলে বলা হয় যোগাযোগ করে পরে আসুন।’’
জেলা হাসপাতালের সহকারী সুপার দিলীপ গিরি গোস্বামী বলেন, ‘‘কিট সরবরাহ না থাকায় অসুবিধা হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy