প্রতীকী ছবি।
আবাস যোজনায় কাটমানি নিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য। এই অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতিতে থানায় অভিযোগ করেছিলেন ডেবরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শালকাঠি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা। অভিযোগ পাওয়ার পরে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী দু’পক্ষকেই ডেবরা থানার ডাকে পুলিশ। তবে কোনও মামলা রুজু হয়নি। পুলিশের দাবি, অভিযোগকারীরা কাটমানি নেওয়ার প্রমাণ দেখাতে পারেননি। প্রমাণ ছাড়া কোনও মামলা রুজু করা যায় না।
অভিযোগকারীদের পাল্টা প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে স্বয়ং বলেছেন কাটমানি ও তোলাবাজির অভিযোগ প্রশাসনে জানাতে, সেখানে পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না কেন? বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের চাপেই অভিযোগ নিচ্ছে না পুলিশ। রবিবার কাটমানি ফেরত দেওয়ার দাবিতে বালিচকে মিছিলও করে তারা। সেখানে দাবি করা হয়, শালকাঠি গ্রাম ছাড়াও ডেবরার বিভিন্ন এলাকায় কাটমানি নিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। আজ, সোমবার ডেবরায় এসডিপিও-র কাছে স্মারকলিপিও দেবে বিজেপি।
বছর খানেক আগে আবাস যোজনার টাকা পাইয়ে দেবেন বলে ডেবরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অনিমেষ দে, শালকাঠি অঞ্চল তৃণমূলের এক সম্পাদক ও এক বুথ নেতা টাকা চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর কাটমানি বার্তার পরে শনিবার সেই বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি কাশীনাথ বসুর দাবি, “আমার সঙ্গে গ্রামবাসীরা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি তবে কাটমানির তো কোনও প্রমাণ হয় না।’’ তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে।
এ দিনের মিছিলের আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির অডিটোরিয়ামে সভা করে বিজেপির মজদুর সংগঠন। সেখানে আইএনটিটিইউসি ও সিটু ছেড়ে প্রায় ২০০ জন বিজেপির মজদুর সংগঠনে যোগ দেন বলে দাবি।
তৃণমূলের অবশ্য দাবি, মিথ্যা অভিযোগে বাজার গরম করতে চাইছে বিজেপি। তৃণমূলের ডেবরা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিবেক মুখোপাধ্যায় বলেন, “কাটমানির অভিযোগ নিয়ে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিজেপিও তো একই দোষে দুষ্ট। তাই তাঁদের যে নেতারা কাটমানি নিয়েছে বিজেপির উচিত তা ফেরতের ব্যবস্থা করার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy