অপরিষ্কার জায়গায় কল থেকে জল নিচ্ছেন বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র
আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। নিশ্চিন্তে, নির্ভয়ে পুরসভার জল পান করুন।
কলকাতার দক্ষিণে কয়েকটি ওয়ার্ডে পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল থেকে ডায়েরিয়া, আন্ত্রিক ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে আতঙ্কও ছড়িয়েছে ওই সব এলাকায়। তাই পানীয় জল নিয়ে পুরবাসীকে এ ভাবেই ভরসা দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুর কর্তৃপক্ষ।
যদিও কলকাতার ঘটনার প্রেক্ষিতে পুর এলাকায় সরবরাহ করা জল নিয়ে এগরা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই নানা অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ, পুরসভার ২, ৪, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও পর্যন্ত ঠিকঠাক পানীয় জলের পাইপ লাইনের কাজ হয়নি। যে জল দেওয়া হয় তা ঘোলা ও নোংরা। পুরসভার পক্ষ থকে দিনে তিনবার জল সরবরাহ করা হলেও কলকাতার ঘটনার পর বাসিন্দাদের অনেকেই এখন ওই জল ব্যবহার করতে ভরসা পাচ্ছে না। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা জানান, কলকাতার খবর জেনে পুরসভার জল নিয়ে যে আতঙ্ক হচ্ছে না তা অস্বীকার করি কী করে। তবে ভাল জল পেতে বাড়িতে গভীর নলকূপ বসিয়েছি।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভোলানাথ রাউল, মন্টু গিরির অভিযোগ, ‘‘ঘোলা ও নোংরা জল নিয়ে পুরপ্রধানকে বার বার জানিয়েও লাভ হয়নি। আমাদের এলাকা থেকে জলের ট্যাঙ্ক অনেক দূরে। জল নিতে গেলে বাড়ির মেয়েদের সব কাজ ফেলে লাইনে দাঁড়াতে হয়। তাও সেই জল অধিকাংশ সময়েই ঘোলাটে। ময়লা মিশে থাকে।’’ একই অভিযোগ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মঞ্জু দলুইয়েরও। তিনি বলেন, ‘‘এই ওয়ার্ডের জল এতটাই নোংরা ও ঘোলাটে যে কলের মুখে কাপড় বেঁধে ছেঁকে সংগ্রহ করতে হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, দিন পনেরো আগে এই জল খেয়ে তাঁর ও পাশের বাড়ির কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অথচ জল শোধনের বিষয়ে পুরসভা কিছু করছে না।
এগরা পুরসভার স্বাস্থ্য ও নিকাশি বিভাগের কর্তা বনবিহারী পাত্রর অবশ্য দাবি, ওয়ার্ডের কোথাও কোনও পাইপলাইনের সমস্যা নেই। নিয়ম করে জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা হয়। শুধু তাই নয়, তিনি এও জানান গত কয়েক বছরে এখানে আন্ত্রিক কিংবা অন্য কোনও জলবাহিত রোগের সমস্যা হয়নি। এ বিষয়ে পুরসভা সব সময়েই তৎপর।
পুরপ্রধান শঙ্করলাল বেরা বলেন, ‘‘পুর এলাকার বাসিন্দাদের কেউ কেউ জল নিয়ে যে অভিযোগ করছেন, তা পুরোপুরি সত্য নয়। জল সরবরাহ নিয়ে সম্প্রতি আমরা বৈঠক করেছি। তবে ঘোলা জলের সমস্যা থাকতে পারে। যদিও জলের পাইপে কোনও ফুটো আছে কি না তা নিয়ে নিয়মিত নজরদারি রয়েছে পুরসভার।’’
তিনি জানান, এর পরেও সোমবার থেকে পুরসভার পক্ষ থেকে জল নিয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে বলা হবে পাইপলাইন ও জল নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে পুরসভাকে জানাতে। তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব তার সমাধান করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy