পুজো ও মহরম কমিটির পুরস্কার বিতরণে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। রবিবার মেদিনীপুরে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
পুলিশ সুপার জানিয়ে রেখেছিলেন, গান গাইতেই হবে। তাঁর বক্তব্য ছিল, পুলিশের অনুষ্ঠানে শুধু বাইরের শিল্পীরা এসে গাইবেন, তা হবে না। সেই মতো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন ডেবরার সিআই ননীগোপাল দত্ত, মোহনপুরের আইসি স্বরূপ বসাক।
রবিবার মেদিনীপুরের প্রদ্যোত স্মৃতি সদনে পুলিশের আয়োজিত দুর্গাপুজোর পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে গান গাইলেন পুলিশকর্তারা। গান শেষ হতেই হলে করতালির ঝড়। মঞ্চে তখন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, সাংসদ মানস ভুঁইয়া এবং অবশ্যই পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন জেলার বিধায়ক, পুরপ্রধানেরাও। পুলিশকর্তাদের গান শুনে মুগ্ধ সকলেই। খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের মন্তব্য, “ওঁরা এত ভাল গান করেন, জানতামই না।” মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলছিলেন, “পুলিশ অফিসারদের গলা সত্যিই ভাল।” এক পুলিশ কর্তার কথায়, “এখন রেওয়াজের সময় পাই না। জানতাম, এ দিন মঞ্চে গাইতে হবে। তাই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।”
জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের কথায়, “যেহেতু পুলিশের অনুষ্ঠান, তাই পুলিশের অফিসারদের গান গাইতে অনুরোধ করেছিলাম। আমরা যে শুধু আইনশৃঙ্খলা দেখি, তা নয়।” জেলা পুলিশের উদ্যোগে এ দিন পুরস্কৃত করা হয় দুর্গাপুজো এবং মহরম কমিটিগুলিকে। থানাস্তরে যারা ভাল কাজ করেছে, তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়।
মানসবাবুর কথায়, “এটা একটা উজ্জ্বল উদাহরণ। সম্প্রীতির মঞ্চে আমরা মিলেমিশে এক হয়ে যাচ্ছি।” ভারতী ঘোষের এ ধরনের উদ্যোগে ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। জেলার সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতিও উৎসবের মরসুমে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। ভারতীদেবী জানান, জেলায় শান্তির বাতাবরণ বজায় ছিল। সে জন্য তিনি সকলের প্রশংসা করেন।
সব মিলিয়ে সম্প্রীতির মঞ্চে অন্য মাত্রা যোগ করল পুলিশকর্তাদের গান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy