প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকা ফোন ধরেননি। তাই অভিমানে বাবা-মাকে ভিডিয়ো কল করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক ছাত্র। শনিবার সন্ধ্যায় ঘাটাল শহরের ঘটনায় পুলিশের তৎপরতায় অবশ্য প্রাণ বেঁচে গিয়েছে ওই ছাত্রের।
বছর কুড়ির ছেলেটির বাড়ি বাঁকুড়ার গ্রামে। যে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তাঁরও বাড়িও একই জায়গায়। ছেলেটি কলকাতায় ফার্মেসি নিয়ে পড়াশোনা করছে। মেয়েটি ঘাটালের একটি নার্সিং কলেজের পড়ুয়া। পরিবার সূত্রে খবর, দু’জনের পরিবারের লোকেরাই তাঁদের এই সম্পর্কের কথা জানে। সম্প্রতি কোনও বিষয় নিয়ে উভয়ের মনোমালিন্য হয়।
পুলিশের দাবি, এর জেরে বেশ কিছুদিন হল ফোন ধরা বন্ধ করে দেয় মেয়েটি। শনিবার বাঁকুড়া থেকে সোজা ঘাটালে চলে আসে ফার্মেসি পড়ুয়া ওই ছাত্র। ঘাটালের নার্সিং কলেজ লাগোয়া ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের গেটের বাইরের একটি গলিতে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে নেল পালিশ মিশিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বছর কুড়ির ওই যুবক।
পুলিশ সূত্রে খবর, তারা তদন্তে জেনেছে, শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঘাটাল নার্সিং কলেজের সামনে পৌঁছয় ছেলেটি। তারপরই বাঁকুড়ার ইন্দাসে বাবার ফোনে ভিডিও কল করেন তিনি। ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে তিনি জানান, তিনি ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে নেল পালিশ মিশিয়ে খেয়ে ফেলেছেন। আত্মহত্যার কথাও বলেন তিনি। তাঁর হাতে ছিল ঠান্ডা পানীয়ের বোতল। এ সব শুনেই বাড়ির লোক সটান যায় ইন্দাস থানায়। ইন্দাস থানা বিষয়টি ঘাটাল থানাকে জানায়। এরপরই দ্রুত আসরে নামে ঘাটাল থানার পুলিশ। ঠিক কোথা থেকে ফোন করা হয়েছে টাওয়ার লোকেশন দেখে জানার চেষ্টা হয়। একসময় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের মূল গেটের পাশে এক গলিতে ওই ছাত্রের খোঁজ মেলে। তাঁকে দ্রুত ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। শুরু হয় চিকিৎসা। গোটা ঘটনায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই ছাত্রের বাবা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy