সৈকত থেকে সংগৃহীত পিকনিকের আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র
বড়দিন চলে গিয়েছে। ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আর বাকি কয়েকটা দিন। বড়দিনের পিকনিক আর ভিড়ের জেরে অপরিষ্কার সৈকত শহর দিঘা জুড়ে তাই সাফাই অভিযান শুরু করে দিল দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ)।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পর্ষদের নির্ধারিত পিকনিক স্পট জাতিমাটিতে হেলিপ্যাডের ঠিক উল্টো দিকে এলাকাজুড়ে সাফাই অভিযান চলে। এছাড়াও মেরিনা ঘাট, ওশিয়ানা ঘাট, নিউ দিঘায় সরকারি বাস ডিপো সংলগ্ন সমুদ্রতীরবর্তী ঝাউবনেও ডিএসডি-এর নিযুক্ত কর্মীরা সাফাই অভিযান চালান।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দিন উপলক্ষে পিকনিক করতে আসা পর্যটকদের জন্য স্থান সংকুলান সম্ভব হয়নি। হেলিপ্যাড-এর উল্টোদিকে যেখানে গাড়ি পার্কিং করা হয়, সেখানে পিকনিক করার নির্দেশ দিয়েছিল ডিএসডিএ। কিন্তু বুধবার সেখানে জায়গা না পেয়ে অনেকেই উদয়পুর পর্যন্ত সমুদ্রের ধারে ঝাউবনে পিকনিক করেন। এমনকী ওল্ডদিঘা জুড়েও একই ছবি দেখা গিয়েছে। ফলে পিকনিকের পরে ঝাউ বনের ভিতর সর্বত্র শালপাতার থালা, থার্মোকলের বাটি-গ্লাস, কাগজ এবং প্লাস্টিকের বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। এর ফলে সৈকত শহরে দূষণের আশঙ্কা করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তা ছাড়া সামনের শনিবার থেকে ‘উইক এন্ড’ শুরু হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ইংরেজি নতুন বছর। ফলে বছরের শেষ সপ্তাহে পর্যটকদের ভিড় আছড়ে পড়বে দিঘা ও তার আশপাশে। তাই বৃহস্পতিবার দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ গোটা শহর জুড়ে সমুদ্রতীরবর্তী ঝাউবন পরিষ্কারে নামে।
এদিন সকাল থেকে পর্ষদের নিযুক্ত সাফাই কর্মীরা যে সব জায়গায় পর্যটকেরা পিকনিক করে গিয়েছেন সেখানে পড়ে থাকা সমস্ত বর্জ্য সংগ্রহ করেন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি ও দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য দেবব্রত দাস জানান, ইংরেজি নতুন বছরের আগেই দিঘাকে পরিচ্ছন্ন করে তোলা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy