মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের (বালক) খেলার মাঠের প্রবেশ পথে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
শহরের অনেক স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এই মাঠেই হয়। শুধু বার্ষিক ক্রীড়া নয়, শীতকাল জুড়ে এখানে ক্রিকেট-ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বিভিন্ন ক্লাব। মেদিনীপুর শহরের সেই মাঠেই এখন দুর্গন্ধে ঢোকা দায়! ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। মাঠের চার দিকে রয়েছে ছোট-বড় গর্তও।
মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ (বালক) হাইস্কুলের অদূরেই রয়েছে মাঠ। সেই স্কুলেরই মাঠই এখন বেহাল। সমস্যার কথা মানছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরূপ ভুঁইয়া। অরূপবাবুর কথায়, ‘‘স্কুল মাঠের অবস্থা খারাপ। সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা পুরসভার সাহায্য চেয়েছি।’’
প্রধান শিক্ষক আরও জানালেন, ‘‘মাঠটি স্কুলেরই। তবে এই মাঠে তো শুধু আমাদের স্কুলের ছাত্ররা খেলাধুলো করে না কিংবা আমাদের স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় না। আরও কিছু স্কুল এখানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।’’
শুধু ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নয়, এই মাঠে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নয়, রয়েছে লাফিং ক্লাব। শহরের অনেক বাসিন্দা এখানে প্রাতঃকালীন শরীর চর্চাও করেন। মাঠ আবর্জনায় ভরে থাকায় সকলেই সমস্যায় পড়েছেন। ওই স্কুল মাঠে ক্যারাটে শেখান কাঞ্চন সাহু। তাঁর কথায়, ‘‘মাঠের চার দিক অপরিষ্কার হয়ে রয়েছে। খেলাধুলোর অবস্থা নেই।’’ স্থানীয় সৌরভ সাহুও মানছেন, ‘‘যা নোংরা-আবর্জনা! এখন আর ওই মাঠে খেলাধুলো করা যায় না।’’
স্কুলের এক সূত্রের খবর, মাঠের হাল ফেরাতে পুরসভায় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। স্কুলের এক শিক্ষকের কথায়, ‘‘পুরসভা থেকে অর্থসাহায্য মিললেই সংস্কার কাজ শুরু হবে।’’ কিন্তু সামনেই তো ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরুর মরসুম। এর মধ্যে পুরসভার অর্থ সাহায্য না পেলে কি মাঠের সংস্কার হবে না? ওই শিক্ষকের জবাব, ‘‘দেখা হবে কিছু করা যায় কি না।’’
শহরের এই স্কুলের মাঠ যেন দিনে দিনে নোংরা-আবর্জনায় ভর্তি হয়ে চলেছে। নজরদারি নেই। গেটও ভেঙে গিয়েছে। মাঠে ঢোকার মুখে, মাঠের ভিতরেও এদিকে- সেদিকে পড়ে রয়েছে জঞ্জাল। সমস্যায় পড়ছে মাঠে খেলতে আসা ছোট ছেলেরা। এখন মাঠটি প্রায় খেলাধুলোর অনুপযোগী। স্থানীয় এক ক্লাবের সদস্য শেখ সরফরাজ বলছিলেন, ‘‘শুধু তো নোংরা-আবর্জনা নয়, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ছোট-বড় পেরেকও। একবার পায়ে ঢুকলেই হল।’’
স্কুলের এক শিক্ষকের আশ্বাস, ‘‘মাঠ পরিষ্কারের ব্যবস্থা হবে।’’ স্কুলের আশ্বাস, মাঠটি আগের চেহারায় ফেরানোর সব রকম চেষ্টা চলছে। কবে ফেরে সেটাই দেখার!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy