প্রতীকী চিত্র।
দেশজুড়ে লকডাউন। কাজ বন্ধ। দিন আনি দিন খাই পরিবারগুলির রোজগারও প্রায় বন্ধ। খড়গপুর শহরে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এল পুলিশ-পুরসভা।
গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ-পুরসভার উদ্যোগেই খড়গপুর শহরের ভবঘুরে ও গৃহহীনদের জন্য রান্না করা খাবার পাঠানো হচ্ছে। এ বার সেই তালিকায় গৃহহীন নয় কিন্তু দরিদ্র পরিবারগুলিকেও অন্তর্ভূক্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার রাতে এই নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে ৩৫০ কুইন্টাল চাল ও প্রয়োজন মতো আলু দেবেন বলে জানিয়েছেন। এভাবে পেঁয়াজও পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরাও ব্যক্তিগত ভাবে কয়েকটি জিনিস কিনব। লকডাউনের সময়ে যাতে কেউ খালি পেটে না থাকে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।”
মহকুমা প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রেলশহর জুড়ে প্রায় ৬ হাজার দুঃস্থ পরিবার রয়েছেন। আপাতত তাঁদের হাতে ওই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, একটি প্যাকেটে ৫ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু থাকবে। এছাড়াও তাতে পেঁয়াজ, সাবানের মতো কয়েকটি প্রয়োজনীয় সামগ্রীও দেওয়া হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই প্যাকেট বিলির কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। এমন উদ্যোগে আর্থিক সাহায্য করেছেন খোদ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারও।
পুরপ্রধান তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকার বলেন, “প্রাথমিকভাবে শহরে ৬ হাজার পরিবার রয়েছে বলে মনে করছি। বিলি শুরু হলে সংখ্যা বাড়তেও পারে। এই শহরে সবাই খেতে পাবে।”
আলাদা ভাবে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও এগিয়ে এসেছে। শুক্রবার তারা ইন্দা ও ট্রাফিক এলাকায় কয়েকটি দরিদ্র পরিবারের হাতে চাল, আলু পৌঁছে দিয়েছে। সঙ্গে ছিলেন প্রদীপ। এছাড়া শহরের কয়েকটি মন্দিরও দুঃস্থ মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy