পুলিশ নিয়ে প্রচার মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র
শহরের ইতিউতি বিড়ি-সিগারেট-গুটখার গুমটি। প্রকাশ্যেই চলে ধূমপান। কমবয়সী ছেলেরাও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। শুধু তো প্রত্যক্ষ নয়, বিপদ রয়েছে পরোক্ষ ধূমপানেও। সবদিক দেখে মেদিনীপুরে অভিযান শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশের যৌথ দল। প্রকাশ্যে ধূমপান রুখতে এই অভিযান।
সোমবার শহরের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অভিযান চলে। গুমটি মালিকদের সতর্ক করা হয়। পড়ুয়াদেরও সচেতন করা হয়। যৌথ দলে ছিলেন জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান, জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিইবি) জুলফিকার মোল্লা প্রমুখ। জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘শহরে অভিযান হয়েছে। এ দিন আমরা সতর্ক করেছি। প্রকাশ্যে ধূমপান চলতে থাকলে এ বার জরিমানাও করা হবে।"
সোমবার শহরে চরকিপাক দিয়েছে এই যৌথ দল। বস্তুত, মেদিনীপুরে তামাকের রমরমা চলছেই। স্কুল, কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ তামাকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। শুধু প্রত্যক্ষ নয়, পরোক্ষ ধূমপানেও বিপদ রয়েছে। অন্যের বিড়ি বা সিগারেটের ধোঁয়া নিঃশ্বাসে নেওয়াই হল পরোক্ষ ধূমপান। পরোক্ষ ধূমপান অধূমপায়ী যুবক থেকে শিশু সকলেরই ক্ষতি করে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশ তৎপর নয় বলেও অভিযোগ। রবীন্দ্রনাথবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘তামাক নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর সব রকম চেষ্টা চলছে। স্কুল, কলেজে সচেতনতা কর্মসূচি হয়। ম্যাজিক, ক্যুইজের মাধ্যমেও এই কর্মসূচি চলে।’’
যৌথ দল মানছে, এখন স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের একাংশও তামাকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা জানাচ্ছেন, দেশে ১০০ জন ক্যান্সার চিকিৎসাধীন রোগীর মধ্যে ৪০ জন তামাক ব্যবহারজনিত। শহর, শহরতলির স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেপিঠে বিড়ি-সিগারেট-গুটখার দোকান রয়েছে। পয়সা দিলেই মেলে তামাকজাতীয় সব বস্তু। প্রকাশ্যে চলে ধূমপান। নেশার আসর বসে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে নেশার বস্তু বিক্রি করলে সাজার নিদান রয়েছে। জরিমানার নিদানও রয়েছে। অনেকের মতে, শৈশব সুরক্ষায় সচেতনতা আরও বাড়ানো উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy