ধৃত বাবা (বাঁ দিকে) ও ছেলে। নিজস্ব চিত্র
চুরির ঘটনায় প্রথমে ধরা পড়েছিল ননদ-ভাজ। তাদেরই একজনের খোঁপা হাতড়ে মেলে চিরকুট। তাতে যে মোবাইল নম্বর পাওয়া গিয়েছিল, সেই সূত্র ধরে এ বার ধরা পড়ল বাবা-ছেলে। ঝাড়গ্রাম শহরে বাড়িতে শিশুকন্যাকে ঢুকিয়ে পরপর চুরির ঘটনায় জড়িত ছিল গোটা পরিবারই।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরা এলাকা থেকে মনসা নাগ ও তাঁর ননদ অষ্টমী নাগকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরার সময় একজনের খোঁপার মধ্যে একটি চিরুকুটে দু’টি মোবাইল ফোনের নম্বর পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই এ বার গ্রেফতার করা হয়েছে বছর চল্লিশের দুষেন নাগ ও তার ছেলে বছর বাইশের বিট্টুকে। জানিয়েছে, বিট্টু হল মনসার স্বামী এবং দুষেন মনসার শ্বশুর। গ্রেফতারের পরে মনসার সঙ্গেই রয়েছে তার তিন মাসের শিশুকন্যা। আর পাঁচ বছরের যে মেয়েকে ঘরে ঢুকিয়ে তারা কাজ হাসিল করত, সে রয়েছে হোমে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের জাদুগোড়া থানার ইঁচড়া এলাকায়। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ রবিবার ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার জাদুগোড়ায় পৌঁছয়। সেখান থেকে বাবা-ছেলে দুষেন ও বিট্টুকে গ্রেফতার করা হয়। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, ‘‘ওই দুই মহিলাকে জেরা করেই বাবা-ছেলের কথা জানা যায়।’’
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া ৬টি মোবাইল ফোন, একটি এটিএম কার্ড ও কিছু নথিপত্র। সোমবার দুষেন ও বিট্টুকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে দু’জনকেই তিনদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ঝাড়গ্রাম শহরের পর পর তিনটি বাড়িতে দিনে-দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটছিল। বাড়িতে লোকজন থাকলেও গ্রিলের সদর দরজা খুলে চুপিসাড়ে ভিতরে ঢুকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, নিয়ে চম্পট দিচ্ছিল অভিযুক্তরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy