পুলিশি হেফাজতে ধৃত অপরেশ, সুমন। নিজস্ব চিত্র
গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার করল নিহত মহিলার স্বামী, শ্বশুর-সহ চারজনকে। পুলিশের দাবি, ধৃত স্বামী জেরায় জানিয়েছে, স্ত্রীয়ের গায়ের রং কালো এবং নিজের একাধিক পরকীয়া সম্পর্কের জন্য সে ওই খুন করেছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খেজুরির কামারদা এলাকায় মৌমিতা মাইতি দাস (২৩) নামে এক মহিলার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। পুলশ জানিয়েছে, ঘটনায় মোমিতার স্বামী অপরেশ দাস, শ্বশুর তরুণ দাস, সৎ শাশুড়ি মাধবী দাস এবং অপরেশের এক বন্ধু সুমন মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেশী তথা বন্ধু সুমনকে নিয়ে এই অপরেশই খেজুরি থানায় গিয়ে মৌমিতার নিখোঁজের কথা জানিয়েছিল। ওই রাতেই অপরেশের বাড়ির অদূরে একটি খড়ের গাদায় মৌমিতার দেহ পাওয়া যায়। ঘটনার তদন্তে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ কুকুরও এলাকায় আনা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম থেকেই অপরেশের কথাবার্তায় তাদের সন্দেহ হয়েছিল। পুলিশ জানতে চেয়েছিল, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে অপরেশ কোথায় ছিল। জবাবে অপরেশ জানায়, সে এক প্রতিবেশীর বাড়ি এবং একটি দোকানে গিয়েছিল। ওই প্রতিবেশী এবং দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদে সামনে আসে যে, অপরেশ মিথ্যে কথা বলছে। এর পরেই পুলিশ অপরেশকে চেপে ধরে। তখনই সে স্ত্রীকে খুনের কথা কবুল করে বলে পুলিশের দাবি ।
জেরায় অপরেশ পুলিশকে জানিয়েছে, কিছুদিন আগে নন্দীগ্রামের একটি মেলা থেকে সে ছুরি কিনেছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৌমিতাকে বাড়ির পিছনের খড় গাদায় নিয়ে গিয়ে ওই ছুরি দিয়ে স্ত্রীয়ের গলার নলি কেটে দেয় অপরেশ। খুনের সময়ে স্ত্রীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অপরেশের। রক্ত লেগে যায় তার পোশাকে। পরে বন্ধু সুমনের বাড়িতে গিয়ে অপরেশ তাকে সব কিছু খুলে বলে। তার রক্তমাখা জামাকাপড় সুমন নিজের বাড়িতে খাটের নীচে ঢুকিয়ে দেয় বলে পুলিশের দাবি। এর পরেই চুল দাড়ি কেটে, বডি স্প্রে মেখে অপরেশ সুমনকে নিয়ে থানায় গিয়েছিল। কাঁথির এসডিপিও পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘স্ত্রীকে খুনের কথা কবুল করেছে অপরেশ। অপরেশ জানিয়েছে, মৌমিতার গায়ের রং কালো ছিল। তা তার পছন্দ ছিল না। ওই সব কারণের জন্যই অপরেশ ওই কাণ্ড ঘটিয়ছে বলে আপাতত জানা গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy