Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
নজরে ঊষার সংস্থা

এ বার খাকুড়দার ছাপাখানায় হানা

এ বার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের খুড়তুতো ভাই সৌম্য মিশ্রকে ফোন করলেন দুর্নীতি দমন দলের আধিকারিকরা। বেলদায় সৌম্যবাবুর যুব কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। শুক্রবার সকালে সৌম্যবাবুকে ফোন করে ঊষা মিশ্রের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ভগবতীদেবী নারী কল্যাণ সমিতি’-এর কয়েকটি রসিদ নিয়ে খোঁজ নেন তদন্তকারীরা। পরে খাকুড়দার এক ছাপাখানায় যান তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৫ ০০:৫৬
Share: Save:

এ বার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের খুড়তুতো ভাই সৌম্য মিশ্রকে ফোন করলেন দুর্নীতি দমন দলের আধিকারিকরা। বেলদায় সৌম্যবাবুর যুব কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। শুক্রবার সকালে সৌম্যবাবুকে ফোন করে ঊষা মিশ্রের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ভগবতীদেবী নারী কল্যাণ সমিতি’-এর কয়েকটি রসিদ নিয়ে খোঁজ নেন তদন্তকারীরা। পরে খাকুড়দার এক ছাপাখানায় যান তাঁরা।

বৃহস্পতিবারই কলকাতা থেকে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে বেলদা ও দিঘায় যান। এ দিন দুপুরে বেলদা বাজার ও খাকুড়দা বাজারে যান তদন্তকারীরা। কিন্তু দু’টি বাজারেই দোকান বন্ধ থাকায় ফিরে যান তাঁরা। শুক্রবার সকালে সূর্যকান্তবাবুর খুড়তুতো ভাই সৌম্যবাবুকে ফোন করেন এক তদন্তকারী। জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে সৌম্যবাবু কম্পিউটার সরঞ্জাম কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। তাঁর একটি ছাপাখানাও ছিল। এ দিন মূলত ওই ছাপাখানার বেশ কিছু রসিদ নিয়ে সৌম্যবাবুকে প্রশ্ন করেন তদন্তকারীরা।

সৌম্যবাবু বলেন, “দোকানের কয়েকটি রসিদ নিয়ে তাঁরা আমাকে প্রশ্ন করেছেন। যতটুকু জানি সবটাই বলেছি।” তাঁর বক্তব্য, “বছর ছয়েক আগে ঊষা মিশ্রের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কয়েকটি ম্যাগাজিন ছেপেছিলাম। তার টাকার রসিদ নিয়েই ওঁরা খোঁজ নেন।”

এর পর খাকুড়দা বাজারে যান দুর্নীতি দমন শাখার দুই আধিকারিক। কিছু রসিদ দেখিয়ে এক ছাপাখানার মালিককে জেরা করা হয়। ওই ছাপাখানার কর্মীরা জানিয়েছেন, ওই দোকান থেকে একাধিক বার ঊষাদেবীর সংস্থার রসিদ বই ও স্ট্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল। ছাপাখানার মালিক প্রশান্ত দাস দাবি করেন, আগে এই দোকানে অন্য মালিক ছিল। এখন তিনি দোকানটি চালান। তদন্তকারীরা পুরনো কিছু রসিদ দেখিয়ে জানতে চান, সেগুলি তাঁদের দোকানের কি না? ওই রসিদগুলিতে কোনও দোকানের নাম ছিল না। প্রশান্তবাবু বলেন, “ওই রসিদ আমাদের দোকানের নয় বলে জানিয়ে দিয়েছি।”

ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘায় সংস্থার উদ্যোগে যে এডস্ সচেতনতা প্রকল্প চালানো হয়, সেই সংক্রান্ত কিছু লিফলেট ও বইও ছাপানো হয়েছিল রামনগর ও খাকুড়দা এলাকা থেকে। সেগুলি কোথা থেকে ছাপানো হয়েছিল, ছাপানোর টাকাও দেওয়া হয়েছিল কিনা সে বিষয়েও তদন্তকারীরা খোঁজখবর নেন বলে জানা গিয়েছে। এ দিন ওই প্রকল্পের ডিরেক্টর কার্তিক আচার্য বলেন, “সাত বছর আগে কোন দোকান থেকে কী ছাপানো হয়েছিল বলা শক্ত। তবে খাকুড়দা ও রামনগর এলাকা থেকে কিছু বই ও লিফলেট ছাপানো হয়েছিল বলে জানি।” এর আগেও খাকুড়দায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অফিসে গিয়ে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। অফিস থেকে বেশ কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। সেই নথি থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করতেই এ দিনের তদন্ত বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খাকুড়দা থেকে তদন্তকারীরা কলকাতায় ফিরে যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE