Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
দূষণ নিয়ে সচেতনতা শিকেয়

নিষেধ উড়িয়ে জলাশয়ে অবাধ বিসর্জন

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর পুজোর উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা হবে রূপনারায়ণ নদ সংলগ্ন শঙ্করআড়া খালের ষোলোফুকার গেটে।

এমন জলাশয়ে বিসর্জন নিয়েই দূষণের অভিযোগ উঠেছে। নিজস্ব চিত্র

এমন জলাশয়ে বিসর্জন নিয়েই দূষণের অভিযোগ উঠেছে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০১
Share: Save:

প্রতিমা বিসর্জনের জেরে শহরের খাল-বিল, জলাশয়গুলির দূষণ নিয়ে অভিযোগ ওঠে প্রায় প্রতি বছরই। অসুবিধায় পড়েন জলাশয়গুলির উপর নির্ভর করা স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই এবার বিসর্জন ঘিরে জলাশয়গুলির দূষণ রুখতে আগেভাগেই সক্রিয় হয়েছিল পুরসভা। পাশাপাশি কালীপুজোর বিসর্জনের জন্য পুলিশের তরফে দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পরেও দেখা গিয়েছে বহু মণ্ডপে প্রতিমা থেকে গিয়েছে। পুলিশ ও পুর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিষেধ না মেনে যারা প্রতিমা রেখে দিয়েছে এবং জলাশয়ে যারা প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে সেই সব পুজো কমিটিকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর পুজোর উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা হবে রূপনারায়ণ নদ সংলগ্ন শঙ্করআড়া খালের ষোলোফুকার গেটে। শহরে প্রায় ২০০টি কালীপুজো উদ্যোক্তাদের প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তমলুক পুরসভা কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার ছিল প্রতিমা নিরঞ্জনের শেষ দিন। কিন্তু ওই দিন রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেও পুরসভার ডাকে সাড়া দেয় গুটিকয়েক পুজোর উদ্যোক্তা। পুরসভা সূত্রে খবর, শুক্রবার ষোলোফুকার গেটের কাছে শঙ্করআড়া খালে প্রতিমা বিসর্জনের পুরকর্মীরা সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। গভীররাত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও মাত্র ৯টি পুজো কমিটি প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসে। পাশাপাশি পুরসভার নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে শহরের একাধিক জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

পুরসভার উদ্যোগে সাড়া না মেলার কথা কার্যত মেনে নিয়ে পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘এ বছর নির্দিষ্ট জায়গায় প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিছু পুজো কমিটি নিয়ম মেনে সেখানে প্রতিমা বিসর্জন দেয়। অনেক পুজো কমিটি নিয়ম ভেঙে জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে। পুরকর্মীদের জলাশয়গুলি পরিদর্শন করে ওই সব পুজো কমিটিকে চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

প্রশ্ন উঠেছে, পুরসভার নির্দেশের পরেও দূষণের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় জলাশয়গুলিতে যে ভাবে প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে সে বিষয়ে বাসিন্দাদের সচেতনতা নিয়েও। রবিবার শহরের বানপুকুর, খাটপুকুর, হাসপাতাল মোড় এলাকায় একাধিক পুকুরে প্রতিমার কাঠামো ভাসতে দেখা গিয়েছে।

খাটপুকুর সংলগ্ন এক পুজো কমিটির উদ্যোক্তা বলেন, ‘‘প্রতিমা বিসর্জনের সময় এলাকার মানুষ শোভযাত্রা করে যান। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষ যেখানে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করেছে সেখানে শোভযাত্রা করে যাওয়ার মতো রাস্তা নেই। তাই আমরা কাছেই পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দিই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pollution Tamluk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE