প্রতীকী ছবি।
ফের হলদি নদীতে উদ্ধার হল মরা শুশুক। হলদিয়া- নন্দীগ্রামের ফেরিঘাটের কাছেই শুশুকটি উদ্ধার হয়। এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, বুধবার রাতেই তীব্র দুর্গন্ধ নাকে আসে। পরে দেখা যায় শুশুকের পচা গলা দেহ ভেসে এসেছে। পুরসভার ওয়ার্ড সুপারভাইজার অলোক চন্দ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মৃত শুশুকটিকে ফেরিঘাটের কাছে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। দুর্গন্ধ বের হেওয়ায় শুশুকটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
বার বার হলদি নদীতে শুশুকের দেহ ভেসে আসায় উদ্বেগ লপ্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা। মহিষাদল রাজ কলেজের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক শুভময় দাশ বলেন, ‘‘বেশ কয়েক বছর ধরেই শুশুক নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইদানীং আগের তুলনায় বেশি সংখ্যায় শুশুকের মৃতদেহ মিলছে।’’ তিনি জানান, এটা খুবই চিন্তার বিষয়। দেখা গিয়েছে, ইদানীং এই প্রাণিরা নিজেদের পছন্দের খাদ্য না পেয়ে নদীতে ফেলা মাছ ধরার জালের কাছে চলে আসছে। কখনও জালে আটকে পড়ে, কখনও মৎ্যজীবীদের হাতে তারা মারা পড়ছে। শুশুকের মাথায় মেলান নামে এক ধরনে তরল থাকে। যার সাহায্যে তারা ইকো লোকেশান বা শব্দ প্রক্ষেপণের মাধ্যমে সামনের বাধা অনুভব করতে পারে। কিন্তু মাথায় আঘাত লাগার ফলে তারা সেই ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে দিগভ্রান্ত হয়। তা ছাড়াও নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে জল ঘোলা হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছে সিডিউল ১-এ থাকা এই প্রাণি।
পশ্চিমবঙ্গ জীব বৈচিত্র পর্ষদের চেয়ারম্যান অশোককুমার স্যান্যাল বলেন, ‘‘মূলত নদীতে জল কমে যাওয়ার কারণেই এই বিপর্যয় ঘটছে। এরা দলবদ্ধ ভাবে ঘোরা ফেরা করে। জলে দূষণ বাড়ার ফলেই এই ধরনের প্রাণীরা আজ সংকটের মুখে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy