বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র
বিএডের চতুর্থ সেমেস্টারের দু’টি পেপারের পরীক্ষা নিয়ে জট অব্যাহত। তার মধ্যেই ফের প্রশ্ন ‘বিভ্রাট’!
এক সূত্রে খবর, পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে প্রশ্নপত্র কলেজগুলোয় পাঠানো হয়েছিল, বুধবার সেই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হল না। পরীক্ষা হল অন্য প্রশ্নপত্রে। পরীক্ষা শুরুর কিছু আগে এই প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলোর ই-মেলে। কলেজগুলোকে জানানো হয়, ই-মেল থেকে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে নিতে হবে। তা জেরক্স করে ছাত্রছাত্রীদের দিতে হবে।
ই-মেলে পাঠানো প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা নিতে হবে। সেই মতোই পদক্ষেপ করে কলেজগুলো।
স্নাতকের প্রথম বর্ষের সেকেন্ড সেমেস্টারের ভূগোলের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা ছিল বুধবার। পরীক্ষাটি সিবিসিএস (চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম) সিস্টেমের। সেই মতো আগেই কলেজগুলোয় প্রশ্নপত্র চলে এসেছিল। তবে সেই প্রশ্নপত্রে এ দিন পরীক্ষা হয়নি। পরীক্ষা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ই-মেলে পাঠানো প্রশ্নপত্রে।
এক কলেজের অধ্যক্ষ মানছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছিল, সেই প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হয়নি। এ দিন ই-মেলে প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। ওই প্রশ্নপত্রই ডাউনলোড করে জেরক্স করে ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয়। এই প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা হয়েছে।”
কেন এমন নির্দেশ? কলেজে পাঠানো প্রশ্নপত্রে কেন পরীক্ষা হল না? এ ক্ষেত্রে কি ‘প্রশ্নফাঁসের’ ঘটনা ঘটেছে? মুখে কুলুপ দিয়েছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বিএডের চতুর্থ সেমেস্টারের দু’টি পেপারের পরীক্ষা বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছিল, ৬ জুলাই এই দু’টি পেপারের পরীক্ষা হবে। সেই মতো বিজ্ঞপ্তিও দেয়। ‘প্রশ্নফাঁসের’ জেরেই এই পরীক্ষা বাতিল বলে এক সূত্রে খবর। বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য জানায়, অনিবার্য কারণবশত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরে আবার ৬ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ১১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনার ভিত্তিতে পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরমধ্যেই বুধবার ভূগোলের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নিয়ে এই ঘটনা নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। এক কলেজের অধ্যক্ষের কথায়, “বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যা করতে বলা হয়েছে, তাই করা হয়েছে। ওই প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য যে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছিল তা প্যাকেটবন্দি অবস্থায় কলেজে রয়েছে। খোলাও হয়নি। কেন ওই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে নিষেধ করা হয়েছে তা অবশ্য জানি না। নিশ্চয়ই কিছু কারণ তো থাকবেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy