Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বাড়িতে জলের মিটার পুরসভার 

অপচয় রুখতে জলের মিটার বসানোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছে খড়্গপুর পুরসভা। তবে এখনও কাজ শুরু হয়নি।

জলের লাইনে বসেছে মিটার। নিজস্ব চিত্র

জলের লাইনে বসেছে মিটার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামজীবনপুর শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৯ ০০:৩৬
Share: Save:

বাড়িতে জলের মিটার বসানোর ক্ষেত্রে অন্য পুরসভাগুলিকে টেক্কা দিল রামজীবনপুর।

অপচয় রুখতে জলের মিটার বসানোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছে খড়্গপুর পুরসভা। তবে এখনও কাজ শুরু হয়নি। পুরসভা সূত্রের খবর, ১,২ এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকদিনের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে। জলের মিটার নেই জেলা সদর মেদিনীপুর পুরসভার এলাকাতেও। তবে এ ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে রামজীবনপুর পুরসভা। কর্তৃপক্ষের দাবি, ইতিমধ্যেই হাজার খানেক বাড়িতে মিটার বসানো হয়ে গিয়েছে।বাদবাকি বাড়ি গুলিতে নতুন জলের সংযোগ, একই সঙ্গে মিটার বসানোর কাজ চলছে। রামজীবনপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নির্মল চৌধুরী বলেন, “জল অপচয় কিছুতেই হতে দেওয়া যাবে না।তাই মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বার কোনও পরিবার প্রয়োজনের বেশি জল খরচ করলেই মিটারে জানা যাবে। পুরকর্মীরা মিটার পরীক্ষা করবে।”

পুরসভা, পঞ্চায়েত সব এলাকাতেই অপচয় হয় জল। পুর শহরে এর মাত্রা বরাবরই বেশি। রাস্তার ধারের বেশিরভাগ ট্যাপকল খোলা থাকে। সেখান থেকে জল নষ্ট হয়। পুরসভার সংযোগ থাকায় বাড়িতেও জল অপচয় হয়। এখন দেশের নানা প্রান্তে জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নানা স্তরে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সরকারি ভাবে প্রচার শুরু হয়েছে। কিন্তু জল অপচয়ে রাশ টানা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে জলের মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত। রামজীবনপুর পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে চারে চার হাজার বাড়িতে মিটার বসানো হবে।

রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে রামজীবনপুরে। পুরানো বাড়ির সংযোগ কিম্বা নতুন সংযোগে উন্নত মানের লোহার পাইপ বসিয়ে পানীয় জল সরবরাহ করতে চায় পুরসভা। প্রাথমিক ভাবে ২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ঠিকাদার সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। এতদিন বাড়ির সংযোগের জন্য শহরের বাসিন্দাদের সাড়ে তিন-চার হাজার করে টাকা দিতে হত। এবার থেকে নতুন সংযোগ নিখরচায় করে দেবে পুরসভা। সঙ্গে মিটার বসিয়ে দেবে। এরজন্য জল করও নেবে না পুরসভা।

জল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরসভার এক বাস্তুকার বলেন, “শহরাঞ্চলে একজন মানুষের দৈনিক জলের চাহিদা ৭০ লিটার। সংশ্লিষ্ট পরিবারে জনসংখ্যা অনুযায়ী পরিমাণ ঠিক করা হবে। মিটারে তার বেশি পরিমাণ উঠলেই ধরে নেওয়া হবে অপচয় হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ramjibanpur municipality Water Meter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE