ধর্ষণের ঘটনাটি গত বছর দুর্গাপুজোর পঞ্চমীতে ঘটে বলে অভিযোগ।
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র ডাক্তার। ধৃতের নাম কানাইলাল দাস। মাস কয়েক আগে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলেই ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।
তবে কি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল সুরক্ষিত নয়? উত্তর দেননি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু। আর কলেজের অন্য এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। কোনও পদক্ষেপ করার থাকলে করা হবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, সব দিকই দেখা হচ্ছে।
অভিযোগকারী যুবতী বেলদার বাসিন্দা। আর ধৃত জুনিয়র ডাক্তারের বাড়ি এগরার কেউটগেড়্যায়। যুবতীর দাবি, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর এক আত্মীয়ার বাড়িতে কানাইলালের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর ক্রমাগত তাঁকে মেসেজ করতে থাকেন ওই যুবক। পরে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। বিয়েতে সম্মতি দিয়েছিলেন যুবতীর পরিজনেরা। ২০১৮ সালের এপ্রিলে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। ধর্ষণের ঘটনাটি গত বছর দুর্গাপুজোর পঞ্চমীতে ঘটে বলে অভিযোগ। মেয়েটির দাবি, ওই দিন ঠাকুর দেখার জন্য তাঁকে মেদিনীপুরে ডেকেছিলেন কানাইলাল। পরে হস্টেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের মুহূর্তের ছবি মোবাইলে ভিডিয়োও নাকি করেছিলেন ওই যুবক। অভিযোগ, থানা-পুলিশ করলে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন কানাইলাল। তখনই পুলিশে অভিযোগ জানান যুবতী। যদিও পুলিশ পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। পরে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে অভিযোগ জানান যুবতী। ইতিমধ্যে মেদিনীপুর জেলা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান ওই জুনিয়র ডাক্তার। শনিবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগকারী যুবতীর আইনজীবী সৌরভ ঘোষ বলেন, ‘‘ধৃতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান আমার মক্কেল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy