Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Retired Primary Teachers

করোনায় আটকে পেনশন

করোনার জেরে তাঁদের প্রাপ্য পেনশন ও ভবিষ্যনিধি প্রকল্পের (প্রভিডেন্ড ফান্ড) টাকা পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০৪:৪০
Share: Save:

কর্মজীবনের শেষ দিনে প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা হয়নি । মেলেনি সহকর্মীদের কাছ থেকে বিদায় সংবর্ধনাও। করোনা আবহে গত তিন মাস ধরে স্কুলে ছুটি থাকার মাঝেই নীরবে অবসর নিয়েছেন জেলার বেশ কিছু প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা।

করোনার জেরে তাঁদের প্রাপ্য পেনশন ও ভবিষ্যনিধি প্রকল্পের (প্রভিডেন্ড ফান্ড) টাকা পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ৩২৬৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ২০-২২ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা অবসর গ্রহণ করেন। অবসর নেওয়ার পরের মাসেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পেনশন এবং প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু লকডাউনের জেরে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং বিদ্যালয় সংসদ অফিসের কাজকর্ম প্রায় আড়াই মাস ধরে বন্ধ থাকায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক- শিক্ষিকাদের পেনশন ও প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা পাওয়ার সরকারি ছাড়পত্র আটকে গিয়েছে। তার জেরে এই সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পেনশন চালু হয়নি। অনেকে প্রভিডেন্ড ফান্ডের প্রাপ্য টাকাও পাননি বলে অভিযোগ।

ভগবানপুর-১ চক্রের কুলটিকরি বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কালীপদ জানা গত ৩০ এপ্রিল অবসর নিয়েছেন। কালীপদ বলেন, ‘‘অবসর গ্রহণের আগে পেনশনের থিপত্র জমা দিয়েছিলাম। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিস থেকে ছাড়পত্র পেয়ে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেনশনের টাকা জমা হলেও ব্যাঙ্কের ছাড়পত্র না মেলায় সেই টাকা তুলতে পারছি না। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অফিসের ছাড়পত্র না মেলায় প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকাও তুলতে পারছি না।’’

নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক অশোক দাসের অভিযোগ, ‘‘গত জানুয়ারি মাস থেকে অবসর নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই তাঁদের প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না। এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলা বিদ্যালয় সংসদ ও পরিদর্শক অফিসে দাবি জানানো হয়েছে।’’ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক অরূপ ভৌমিকের অভিযোগ, ‘‘লকডাউনে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ও বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিস প্রায় আড়াই মাস বন্ধ ছিল। সরকারি নির্দেশে গত ১ জুন থেকে অফিস খুলেছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা যাতে দ্রুত দেওয়া হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।’’

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মানস দাস বলেন, ‘‘অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পেনশন চালুর জন্য অবসরের তিনমাস আগে নথি জমা নেওয়া হয়েছিল। তা পুরনো বেতন কাঠামো অনুয়ায়ী ছিল। ২০১৯ সাল থেকে নতুন বেতন কাঠামো চালু হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী পেনশন চালুর ক্ষেত্রে একটু সময় লাগছে। তবে দ্রুত কাজ চলছে।’’ তিনি জানান, প্রভিডেন্ড ফান্ডের ক্ষেত্রেও দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Retired Primary Teachers Pension
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE