Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

চিকিৎসক হতে চায় রীনা

ছোটবেলা থেকেই অভাব তার নিত্যসঙ্গী। তবু অভাবের কাছে হার মানেনি রীনা। তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৫০ নম্বর পেয়েছে সে। ভগবানপুর-১ ব্লকের শ্রীবচ্ছিপুর গ্রামের বাসিন্দা রিনা মাইতির বিষয়ভিত্তিক নম্বর-অঙ্কে-৯৮, জীবন বিজ্ঞানে- ৯৮, ইতিহাসে- ৯৪, ভৌত বিজ্ঞানে- ৯৩, বাংলায়- ৯১, ভূগোলে-৯০ ও ইংরেজিতে-৮৬।

রীনা মাইতি। —নিজস্ব চিত্র।

রীনা মাইতি। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
এগরা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৫ ০০:৫৬
Share: Save:

ছোটবেলা থেকেই অভাব তার নিত্যসঙ্গী। তবু অভাবের কাছে হার মানেনি রীনা। তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৫০ নম্বর পেয়েছে সে। ভগবানপুর-১ ব্লকের শ্রীবচ্ছিপুর গ্রামের বাসিন্দা রিনা মাইতির বিষয়ভিত্তিক নম্বর-অঙ্কে-৯৮, জীবন বিজ্ঞানে- ৯৮, ইতিহাসে- ৯৪, ভৌত বিজ্ঞানে- ৯৩, বাংলায়- ৯১, ভূগোলে-৯০ ও ইংরেজিতে-৮৬। মনোহরপুর বান্ধব উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই ছাত্রী বরাবরই পড়াশোনায় ভাল। তার বাবা মুকুল মাইতির কথায়, ‘‘তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে পাঁচজনের সংসার। সামান্য জমিতে চাষের কাজ করি। তা দিয়ে সংসারই চলে না। জানি না মেয়েটাকে কীভাবে পড়াব।’’ রীনার স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষ্ণুপদ ঘোষালের কথায়, ‘‘রীনা আমাদের স্কুলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। ও অত্যন্ত অমায়িক ও ভালো মেয়ে। ভবিষ্যতে আরও ভালো রেজাল্ট করুক, আমার আশীর্বাদ রইল।’’ আর রীনার কথায়, ‘‘যদি ভবিষ্যতে পড়ার সুযোগ পাই, চিকিৎসক হতে চাই। ’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE