—প্রতীকী ছবি।
স্বামীর খোঁজ করে এসেছিল তিন যুবক। সে সময় বাড়িতে ছিলেন না গৃহকর্তা কবীর মহম্মদ। তাঁর অপেক্ষায় বাড়ির দাওয়াতেই বসে পড়েছিল ওই তিনজন। বেশ কিছুক্ষণ পরেও কবীর বাড়িতে না আসায় তিন যুবক তাঁর স্ত্রীর কাছে মুড়ি এবং পান খেতে চায়। সেই মতো ‘অতিথি’দের মুড়ি এবং পান দিয়েছিলেন কবীরের স্ত্রী। এর পরে আর তর সয়নি ‘অতিথি’দের। কবীর বাড়ি না ফেরায় তারা নিজেদের ফোন নম্বর কাগজে লিখে চলে যেতে চেয়েছিল। সেই মতো কাগজ আনতে বাড়ির ভিতরে গিয়েছিলেন কবীরের স্ত্রী। অভিযোগ, সেই সময় ওই তিন যুবক কবীরের স্ত্রীর মুখে কাপড় বেঁধে লুটপাট করে পালিয়ে যায়।
বুধবার রাতে এমনভাবেই ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মহম্মদপুর গ্রামে। যাঁর বাড়ি থেকে ওই ঘটনা ঘটেছে, সেই কবীর মহম্মদ সিপিআইয়ে’র বিধায়ক পদপ্রার্থী ছিলেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কবীরের একমাত্র ছেলে এবং পুত্রবধূ কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকেন। রবিবার সন্ধ্যায় একাই বাড়িতে ছিলেন কবীরের স্ত্রী রহিমা। নন্দীগ্রামে সিপিআই নেতা কবীর গিয়েছিলেন সান্ধ্যকালীন প্রার্থনায়। তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, ওই সময় বাড়িতে তিনজন যুবক এসে দলের কর্মী বলেই পরিচয় দেয়। রমজান মাস থাকায় কবীরের সঙ্গে দেখা করবে বলেছিল তারা। অপেক্ষা করার সময় খেতে চেয়েছিল ওই তিনজন। তারপরও কবীর না ফেরায় তারা মোবাইল নম্বর এবং কী দরকার, তা লিখে দিয়ে চলে যেতে চেয়েছিল।
রহিমা বলেন, ‘‘বারান্দা থেকে উঠে কাগজ আনতে বাড়ির ভিতরে গিয়েছিলাম। তখনই তিনজন যুবক ভিতরে আসে। আমার মুখে কাপড় বেঁধে দেয়। গলায় থাকা সোনার হার, চুড়ি, আংটি কেড়ে নেয়। দুল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে তা পারেনি।’’ রহিমার দাবি, একটি মোটরবাইকে চেপে ওই তিন যুবক পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে কবীর নন্দীগ্রাম থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। স্থানীয় এবং প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, কবীরের বাড়ির আশেপাশে তেমন জনবসতি নেই। এছাড়া, রমজান মাসে সন্ধ্যার সময় প্রতিবেশী পরিবারের পুরুষ সদস্যেরা প্রার্থনা যান। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই দুষ্কৃতীরা ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তাঁদের দাবি। কবীর বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘তিন জনের মুখ ঢাকা ছিল না। আশাকরি ওদের চিনতে পারবে আমার স্ত্রী।’’
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের কয়েক দিন আগে থেকে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা লেগেই রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জন্য অসামাজিক কাজকর্ম বেড়ে চলেছে। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, এখনো কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy