মানস ভুঁইয়া, বিকাশ ভুঁইয়া-সহ তিন জন অব্যাহতি পেয়েছিলেন আগেই। এ বার আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সবংয়ে তৃণমূলকর্মী খুনের মামলায় অভিযুক্ত আরও ৯ জন। সোমবার তাঁরা মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তবে জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে বিচারক ৯ জনকেই ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন। এ দিন আত্মসমর্পণকারী আবু কালাম বক্স, নিশিকান্ত কর, অজিত আদক, মুকুন্দরাম দাস, মুকুন্দরাম দাস অধিকারী, বাদল বর্মন, গৌতম করন, কেদারনাথ জানা, উত্তম করনরা সকলেই কংগ্রেস করতেন। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সবংয়ের দুবরাজপুরে খুন হন তৃণমূল কর্মী জয়দেব জানা। তাঁর স্ত্রী মানসীদেবীর দাবি ছিল, মানস ভুঁইয়ারাই লোকজন দিয়ে খুন করিয়েছেন জয়দেবকে। ওই ঘটনায় মানসবাবু-সহ মোট ২৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সকলে জামিন পেয়ে যান। গত জুলাইতে পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে মানসবাবু, তাঁর ভাই বিকাশ ভুঁইয়া এবং সবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পন্ডার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে মেদিনীপুর আদালত।
ইতিমধ্যে তৃণমূলে যোগ দেন মানসবাবুরা। তারপরই গত ৭ ডিসেম্বর এই মামলা থেকে অব্যাহতি পান মানসবাবু, বিকাশবাবু, অমলবাবু। মামলার চার্জশিটে এই তিনজনের নামই রাখেনি পুলিশ। সেই সময় বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য ছিল, মামলা থেকে বাঁচতেই তো দলবদল করেছেন মানসবাবুরা। সবংয়ের কংগ্রেস নেতা চিরঞ্জীব ভৌমিক এ দিনও বলেন, “পুলিশ-প্রশাসন কতটা নিরপেক্ষ তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। মানসবাবুরা কেন তৃণমূলে গিয়েছেন, তাও মানুষ বুঝতে পারছেন।”
এই মামলায় অভিযুক্ত স্বরূপ সেনগুপ্ত এখনও ‘ফেরার’। স্বরূপও আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলে দলের এক সূত্রে খবর। কেন এই আত্মসমর্পণ? সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা সবংয়ের এক নেতার কথায়, “এ ছাড়া কোনও পথ ছিল না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy