হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া নোটিস। নিজস্ব চিত্র
সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও ওই হাসপাতালের উপরে নির্ভশীল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বহু বাসিন্দা। পাঁশকুড়ার ওই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে গত কয়েক দিন ধরে মিলছে না জলাতঙ্কের প্রতিষেধক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সে কথা নোটিস দিয়ে জানিয়েও দিয়েছেন। অভিযোগ, এর ফলে খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ওই প্রতিষেধক।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি পাঁশকুড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় কুকুরদের কামড়ে জখমের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে রোগীদের। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এতদিন জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন মিলত সরকারি হাসপাতালেই। তবে গত ছ’মাস ধরে ওই প্রতিষেধকের সরবরাহ কমেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। আর বর্তমানে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নোটিস দিয়ে প্রতিষেধক না থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর ফলে নিম্ন মধ্যবিত্তেরা সমস্যা পড়েছেন। পাঁশকুড়ার কেশাপাটের ডালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তথা পেশায় দর্জি লক্ষ্মণ বেরা বলেন, ‘‘গত বুধবার দোকানে আসার সময় একটি পাগল কুকুর কামড় দেয়। চিকিৎসার জন্য পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ওই দিন চিকিৎসক একটি প্রতিষেধক দেন। শনিবার প্রতিষেধ নিতে ফের হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কিন্তু জানতে পারি প্রতিষেধক শেষ হয়ে গিয়েছে। বাজার থেকে ৩৪৬ টাকা দিয়ে একটি ভ্যাকসিন কিনতে হয়।’’
একই অভিজ্ঞতা পাঁশকুড়ার মাইশোরা বাসিন্দা প্রদীপ সাহুর। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘গত রবিবার এক আত্মীয়কে কুকুরে কামড়ায়। সুপার স্পেশালিটিতে প্রতিষেধক ছিল না। বাধ্য হয়ে বেসরকারি নার্সিংহোমে যেতে হয়।’’
প্রতিষেধক অমিল হওয়া নিয়ে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার শচীন রজক বলেন, ‘‘সরবরাহ না থাকলে আমরা কী করব! জলাতঙ্কের প্রতিষেধক চেয়ে স্বাস্থ্য দফতরকে ইমেল করা হয়েছে’’ এ ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা চলতি মাসের ৪ তারিখে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক সব হাসপাতালেই পাঠিয়েছি। তবে যোগান কম রয়েছে, একথা ঠিক। গোটা দেশেই এই প্রতিষেধকের উৎপাদন কম হওয়ায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy