প্রতীকী ছবি।
ফের এক মহিলার উপর হামলা চালাল ছিনতাইকারীরা। বৃহস্পতিবার সকালে তমলুক শহরের বাদামতলার কাছে ওই ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত মহিলা রোজকার মতো শরীর চর্চায় বেরিয়েছিলেন। তখনই মোটর সাইকেলে করে এসে দুই ছিনতাইকারী হামলা চালায়। তাঁর টাকার ব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে তাঁর অভিযোগ। তবে এই নিয়ে তিনি থানায় রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জানাননি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অভিযোগ না জানানো ব্যাপারে মহিলার যুক্তি, গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইকরীদের উপদ্রব ক্রমশ বাড়ছে। অথচ পুলিশ কোনও নিরাপত্তা দিতে পারছেন না। অভিযোগ জানালে তিনি হামলাকারীদের রোষে পড়তে পারেন, এই আতঙ্কেই অভিযোগ জানাননি।
তমলুক শহরে আবাসবাড়ির বাসিন্দা অর্চনা মণ্ডল নামে ওই মহিলার আতঙ্ক যে নেহাত অমূলক নয়, গত কয়েক মাসে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনাতেই তার প্রমাণ। শহরবাসীর প্রশ্ন, একের পর এক ঘটনা ঘটলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পুলিশের তৎপরতা কোথায়? প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে শহরের মালিজঙ্গলপাড়ায় ছিনতাইকারীরা এক ব্যবসায়ীর উপরে হামলা চালায়। তার পর গত ৬ অগস্ট কাঁকতিয়া বাজারের কাছে ছিনতাইকারীদের হাতে আক্রান্ত হন এক বৃদ্ধা। হামলার জেরে মৃত্য হয় মিনতি ভৌমিক নামে ওই বৃদ্ধার। এ ছাড়া শহরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক কর্মীর বাড়িতে লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। তার পর ফের এ দিন বাদামতলার কাছে ওই ঘটনায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন ভোরে অর্চনাদেবী ও তাঁর ছেলে এবং প্রতিবেশী এক মহিলা বাড়ি থেকে সাইকেলে শহরের ভিতরের প্রধান রাস্তা ধরে শরীর চর্চার জন্য ময়দানে যাচ্ছিলেন। ভোর ৫টা নাগাদ বড়বাজার সংলগ্ন সেতুর কাছে মোটর সাইকেলে করে দুই দুষ্কৃতী প্রথমে তাঁদের সামনে চলে আসে। তার পর তাঁদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়। অচর্নাদেবীর অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরে পুরনো পঞ্জাব ব্যাঙ্কের মোড়ের কাছে ফের ওই দুষ্কৃতীরা পিছন থেকে এসে তাঁর পাশ ঘেঁষে যাওয়ার সময় সাইকেলে রাখা তাঁর ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। ব্যাগে কয়েক হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা যে ভাবে কাণ্ডটা ঘটায় তাতে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছি। রোজই ওই রাস্তা দিয়ে যাই। ফের যদি ওরা হামলা চালায়!’’
যদিও তমলুক থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, মহিলা অভিযোগ করলে যথাযথ তদন্তে করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের নজরদারি রয়েছে। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy