শরৎ-রানি: নীল আকাশ, কাশের দোলা, সবুজে সাজানো প্রকৃতিতে স্বাগত আশ্বিন। দাসপুরে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
মহালয়া এসে গেল। আকাশে-বাতাসে শরতের ছোঁয়া। তবে পুজোর গন্ধ কই!করোনা পরিস্থিতিতে নিজের দায়িত্ব পালনে নিজেই করোনার কবলে পড়েছিলাম। সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছি। তবে করোনা-যুদ্ধ চলছে। এ বার মহালয়াও কাজের মধ্যেই কাটল। আমার কর্মস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়। আর বাড়ি বাঁকুড়ার তালডাংরা থানা এলাকার খিচকায়। কর্মসূত্রে বাইরে বাইরে ঘুরছি বহু দিন ধরেই। ২০১৯-এ নারায়ণগড়ে আসার আগে বীরভূমের দুবরাজপুরে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, পশ্চিম বর্ধমানের ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট, পাঁশকুড়া, আসানসোলে বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলাম। প্রতি বছরই মহালয়া থেকে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় চলত। এ বার শেষ বাড়ি গিয়েছিলাম ২৮ জুন, একদিনের জন্যই। পুজোর সময় বাড়ির জন্য মন কেমন করছে। তবে শেষমেশ যেতে পারব কিনা জানি না।
নারায়ণগড়ে করোনা রোগী বাড়ছে। সেফ হোমের জন্য জায়গা খোঁজা শুরু হয়েছে। গত ১৫ অগস্ট মকরামপুরে জেলার দল সেই সূত্রে যখন পরিদর্শনে এসেছিল, তখন গিয়েছিলাম। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়লাম। মৃদু উপসর্গ ছিল। অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় রিপোর্ট এল পজ়িটিভ। প্রথম দু’দিন আবাসনেই ছিলাম। পরে শ্বাসকষ্ট বাড়ে। ভর্তি হতে হয় শালবনি করোনা হাসপাতালে। দশদিন পরে সুস্থ হয়ে ফিরেছি।এ বার সত্যি এক অন্য পরিস্থিতিতে পুজো আসছে। মহালয়ার পরে এক মাস সময়। কিন্তু পুজো পুজো ভাবটাই নেই। তবে বাড়ির জন্য তো মন কেমন তো করে। বাঁকুড়ার বাড়িতে ছ’জনের সংসার। বাবা, মা আছেন। আমার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা, মেয়ে বিতস্তা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করল। ছেলে বৈদিক ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। করোনা পরিস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব আছে। ফলে, পুজোর সময় অবস্থা কেমন থাকবে, তার উপরই নির্ভর করবে বাড়ি যেতে পারব কিনা। ইচ্ছে তো করে ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই। তবে সব সময় ইচ্ছে কি আর পূরণ হয়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy