বিজয়িনী: মধ্যমণি সহেলি (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)। নিজস্ব চিত্র
মঞ্চে হাজির প্রতিযোগীরা। গন্ধে ম ম করছে উৎসব প্রাঙ্গণ। চুলচেরা বিচারে ইলিশের কোন পদ কার থেকে এগিয়ে, তা বাছা সত্যিই কঠিন ছিল। শেষমেশ সবাইকে পিছনে ফেলে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিল ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে রান্না করা কচুর শাক।
মেদিনীপুরে ইলিশ উৎসবের মঞ্চে এই পদ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন শহরেরই বাসিন্দা সহেলি রাহা ভৌমিক। তাঁর কথায়, “পুরস্কার পেতে কার না ভাল লাগে। সামনের বার আরও নতুন পদ নিয়ে আসব।’’ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়ে যথাক্রমে পুদিনা ইলিশ এবং ডাব ইলিশ। ডাব ইলিশ রেঁধেছিলেন মেদিনীপুরের ফুলটুসি দাস। তিনি বলেন, “প্রতিযোগিতার থেকেও উৎসবটাই বড় কথা। মেদিনীপুরে তো আগে কখনও এমন আয়োজন হয়নি।’’
উত্সব চলাকালীন রবিবার রাতেই প্রতিযোগিতার ফল ঘোষণা হয় এবং পুরস্কার বিতরণ হয়। উৎসবের অতিথি জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, আশিস চক্রবর্তী, পুরপ্রধান প্রণব বসুদের ঘাড়েই বর্তেছিল সেরা পদ বাছার কঠিন দায়িত্ব। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরাদেবী বলছিলেন, “প্রায় সব পদগুলোই বেশ ভাল ছিল। তার মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বাছাই করাএকটু কঠিনই। প্রতিযোগিতা সত্যিই জমে গিয়েছিল।’’
মেদিনীপুরের জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই ইলিশ উৎসবে বিভিন্ন রেস্তোঁরার স্টলের পাশাপাশি অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও স্টল দিয়েছিলেন। এখন ইলিশের দাম মধ্যবিত্তের নাগালে। সব দিক দেখেই এই উৎসবের আয়োজন। ভিড়ও হয়েছিল ঠাসা। রাত দশটার মধ্যে সব স্টলের পদ ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। ইলিশ উত্সবের অন্যতম উদ্যোক্তা স্নেহাশিস ভৌমিক বলছিলেন, “মেদিনীপুরের ভোজনরসিকরা এখানে এসে ইলিশের নানা পদে মজেছেন, এটাই প্রাপ্তি। সামনের বছর ফের ইলিশ উত্সব হবে। আরও বেশি স্টল থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy