Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পাখি মারার বন্দুকের গুলিতে আহত ছাত্রী

পটাশপুর-২ ব্লকের শ্রীরামপুর মাতঙ্গিনী শিশুশিক্ষা স্কুলে শুক্রবার ওই ঘটনা ঘটেছে। স্কুল সূত্রের খবর, বাইরে খেলতে থাকা এক ছ’বছরের এক স্থানীয় শিশু স্কুলের জানালা লক্ষ্য করে পাখি মারার বন্দুক চালিয়েছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটাশপুর শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:০৩
Share: Save:

স্কুলে ক্লাস করছিল চতুর্থ শ্রেণির খুদে পড়ুয়ারা। হঠাৎ চিৎকার করে বুকে হাত দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এক ছাত্রী। ছুটে আসেন শিক্ষিকারা। তাঁরা দেখেন, ওই ছাত্রীর বুকে লেগেছে পাখি মারার বন্দুকের গুলি!

পটাশপুর-২ ব্লকের শ্রীরামপুর মাতঙ্গিনী শিশুশিক্ষা স্কুলে শুক্রবার ওই ঘটনা ঘটেছে। স্কুল সূত্রের খবর, বাইরে খেলতে থাকা এক ছ’বছরের এক স্থানীয় শিশু স্কুলের জানালা লক্ষ্য করে পাখি মারার বন্দুক চালিয়েছিল। সেই গুলিতে আহত হয়েছে সিপ্তী মাইতি বলে এক চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। তাকে প্রথমে পটাশপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে ওই ছাত্রীকে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই স্কুলটির চারপাশে কোনও প্রাচীর নেই। দুই শ্রেণি কক্ষের স্কুলটিতে বারান্দাতেও পড়াশোনা চলে। ৬২ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য রয়েছেন তিন জন শিক্ষিকা। স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কক্ষটি স্থানীয় জয়ন্ত দাসের বাড়ির দেওয়াল ঘেঁষে রয়েছে। অভিযোগ, এ দিন স্কুল চলাকালীন জয়ন্তের ছ’বছরের ছেলে শ্রেণিকক্ষ লাগোয়া এলাকায় পাখি মারা বন্দুক নিয়ে খেলছিল। আচমকাই ওই শিশু বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে স্কুলের জানলা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয়। সে সময় ক্লাসের ভিতরে দাঁড়িয়েই ছিল সিপ্তী। গুলিটি তার বুকে লাগে বলে দাবি।

সিপ্তীর বাড়ি ইর্দা গ্রামে। পড়াশুনার জন্য সে শ্রীরামপুর গ্রামের মামা বাড়িতে থাকে। ঘটনার পরে খবর দেওয়া হয় তার পরিজনকে। এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে সিপ্তীর চিকিৎসা হয়। তার বুকের বা’দিকের ক্ষত স্থান থেকে গুলি বার করা হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। তবে ক্ষতস্থানের বিশেষ পরীক্ষার জন্য সিপ্তীকে শনিবার তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনার পরেই পুলিশ জয়ন্তের বাড়িতে গিয়ে বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করে। ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোহ দায়ের হয়নি। তবে শনিবার অনেক অভিভাবক ভয়ে স্কুলে ছেলেমেয়েদের পাঠাননি বলে দাবি। সঞ্জয় দাস নামে এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, ‘‘স্কুলের চারদিকে খোলামেলা। নিরাপত্তা সেই ভাবে নেই। কালকের ঘটনার পরে শনিবার মেয়েকে ভয়ে স্কুলে পাঠাইনি।’’ গোটা ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পুষ্প দাস বলেন, ‘‘আহত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুলের চারিদিকে প্রাচীর দেওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bird Hunting Gun Patashpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE